ভারত উপমহাদেশের পশ্চিম উপকূলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরসমূহ এবং শ্রীলংকার সাথে আরব ব্যবসায়ীদের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইসলাম-পূর্ব অজ্ঞতার যুগেই কয়েকজন আরব ব্যবসায়ী শ্রীলংকায় এসে বসতি স্থাপন করে। ইতিমধ্যে আরব বিশ্বে আবির্ভাব ঘটে এক নতুন ধর্মের। তবে এ ধর্ম আরব ব্যবসায়ীদের তাদের পৈত্রিক ধর্ম বিশ্বাস পরিত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেনি। কিন্তু ইরানী ও রোমানদের বিরুদ্ধে আরব মুসলমানদের বিস্ময়কর, মর্যাদাপূর্ণ ঐতিহাসিক বিজয়বার্তা তাদের মনে স্বদেশী জাতীয়তাবোধ নতুন করে জাগিয়ে তোলে। তৎকালীন সময়ে সভ্যতার বিচারে আরবের তুলনায় ইরানকে সভ্য দেশ হিসেবে গণ্য করা হতো। তাই ভারতের বাজারে তুলনামূলকভাবে ইরানী পণ্যের চাহিদা ছিল বেশী। তাছাড়া ভারতের শাসকরা ইরানকে এক দুর্দান্ত প্রতাপশালী শক্তিধর প্রতিবেশী জ্ঞান করতো। বিধায় আরবদের তুলনায় ইরানী ব্যবসায়ীরা অধিক সুবিধা ও সম্মান পেতো। সিরিয়া থেকে কোন কাফেলা এলে রোমানদের সাথে প্রাচীন সখ্যতা ও তাদের শক্তিতে ভীত ভারতবাসীরা তাদেরকে আরবদের চেয়ে বেশী সমাদর করতো। কিন্তু হযরত আবু বকর সিদ্দীক ও ওমর ফারুক রা. এর শানদার বিজয়ধারা প্রতিবেশী জাতিদের মনে আরবদের মর্যাদা সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দেয়।
Nosim Hijajee শরীফ হুসাইন (ছদ্মনাম নসিম হিজাজী হিসাবে বেশি পরিচিতি, জন্ম:১৯১৪ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৯৯৬) হলেন একজন পাকিস্তানি উপন্যাসিক ও লেখক, যিনি লেখালেখির সময় নসিম হিজাজি ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। বাল্য ও কৈশোর কাল গ্রামে কাটলেও তার সোনালী যৌবনটুকু দখল করে আছে ঐতিহাসিক লাহোর শহর। এখানেই তিনি লেখাপড়া করেন এবং লাহোর ইসলামীয়া কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি একজন উর্দু ভাষার লেখক। হিজাজী পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ধারওয়াল শহরের পাশের একটি গ্রাম সুজানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই ১৯৪৭ সালে তার পরিবার লাহোরে বসবাস শুরু করে। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় পাকিস্তানে কাটিয়েছেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ মার্চ তারিখে ইন্তেকাল করেন।