১৯৭৫ সালে বেহাত হয়ে যাওয়া স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র-আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ একটি অগ্রগণ্য নাম। দুই দশকের সামরিক শাসন, গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে সামরিক তন্ত্রের পরিপোষকদের ক্ষমতারোহণ, একাত্তরের কালিমালিপ্ত কুখ্যাতদের পুনর্বাসন, লুটআট-হত্যা-ধর্ষণ, সংগঠিত জঙ্গীচক্রের নৃসংশ হামলা, বল্গাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা, আবারও নিরপেক্ষতার নামে দুষ্টচক্রের রাষ্ট্রযন্ত্রে অনুপ্রবেশ, এইসব চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ২০০৮ সালের শীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনসমূহের মহাজোট ২০০৯ সালের সূচনায় সরকার গঠন করে। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ঐ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন। এই বইয়ে ব্যরিস্টার শফিক আহমেদের অত্যুজ্জ্বল শিক্ষাজীবন, সংগ্রামী রাজনৈতিক ও আইনজ্ঞ জীবনের কোনো স্তর নিয়েই আলোচনা করা হয়নি। বরং এতে সন্নিবেশিত হয়েছে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয় তথা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সংশ্লিষ্ট কার্যাবলি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ সমূহের বাচাইকৃত অংশ। মহাজোট সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ সাথে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের মতো মারাত্মক সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সংশ্লিষ্ট সংবাদসমূহ পাঠে ঐ বছরের বাংলাদেশের একটি ধারাবাহিক চিত্র পাওয়া যাবে।
খালিদ মারুফ। রেহানা মারুফ ও মারুফুল হক মোল্লা দম্পতির প্রথম পুত্র। জন্ম ১৯৮৫ সালের ১০ আগস্ট, বাগেরহাট জেলার বেশরগাতী নামক এক সংঘাতপ্রবণ গ্রামে। পুরো কৈশোর আর যৌবনের কিয়দংশ কেটেছে নড়াইল-গোপালগঞ্জে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগের ছাত্র হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত।