“রুহামনামা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ আমাদের আশেপাশে থাকা প্রতিটি বাচ্চাই অন্যরকম আর ইন্টারেস্টিং। মজার মজার কথা বলে, কাণ্ড করে ওরা। বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনরা সেগুলাে দেখে প্রায়ই মুগ্ধ হই, আনন্দিত হই এবং তার অধিকাংশগুলােই পরে আর মনে রাখি না। ভুলে যাই। কিন্তু সেইসব কথা কিংবা কাণ্ডকারখানা যদি লিখে রাখা যেত তাহলে একটা আনন্দ সংকলন হতে পারতাে। মূলত এই ধারণা থেকেই এই বইয়ের চিন্তা। আশেপাশে থাকা আর দশটা বাচ্চার মতই একটা বাচ্চা রুহাম। ওর বয়স এখন এগারাে বছর। রুহামের বিভিন্ন বয়সের পাকামি, বােকামি, দুষ্টুমিগুলাে বিভিন্ন সময়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যা আসলে একটি বাচ্চার শৈশবের কিছুটা সময় ধরে রাখার চেষ্টা। এবং এটার চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে বই আকারে রুহামনামা’ । প্রিয় পাঠক, আপনারা আপনাদের শিশুটির অথবা ছােট্ট ভাগ্নে/ভাগ্নি বা ভাস্তে/ভাস্তির ছবি তুলে রাখেন যে কারণে, রুহামনামা লেখার পেছনের কারণও সেটাই। বইটি পড়তে পড়তে পাঠক নিশ্চিত করেই খেয়াল করবেন আপনাদের চারপাশে থাকা রুহামের কাছাকছি বয়সের বাচ্চারা প্রতিদিনই কত মজার কাজ করে, কথা বলে। পাঠক হিসেবে এই বই পড়ে আপনি যদি আনন্দ পান এবং আপনার চারপাশের বাচ্চাদের মজার ব্যাপারগুলাে লিখে রাখতে উৎসাহ বােধ করেন তাহলেই এই বই সার্থক।
১৯৮৬ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসর’-এ প্রথম ছড়া ছাপা হওয়ার পর থেকে দেশের প্রধান সব দৈনিকগুলােতে নিয়মিতই। তিনি লিখে যাচ্ছেন। ঘুমপাড়ানি ছড়া থেকে। শুরু করে সমাজের অসঙ্গতি- সবই তাঁর ছড়ায় ধরা পড়ে বলে শিশু, কিশাের, কৈশােরউত্তীর্ণ সব বয়স শ্ৰেণীই তাঁর ছড়ার পাঠক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩০ এর বেশি। ছড়াগ্রন্থ কা কা’ এর জন্য নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং রঙিন আমার ছেলেবেলা বৃষ্টি কাদায় মাখার জন্য পেয়েছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযােগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রােমেন রায়হান পেশায় চিকিৎসক ও নেশায় ছড়াকার। ছড়াকার পরিচয় দিতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বােধ করেন।