"ডাক্তার তুই পালিয়ে যা" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: ডাক্তারদের বদনামের শেষ নেই। ডাক্তারদের বিত্ত-বৈভব নিয়ে আলোচনা রূপকথার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। শহরে থাকা গুটিকয় সিনিয়র অধ্যাপকের বাড়ি গাড়ি দেখে সাধারণের ধারণা হয়ে গেছে বাকিদেরও একই অবস্থা। বাস্তব চিত্র হচ্ছে নবীন ডাক্তারদের জন্য এই পেশায় টিকে থাকাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। br> সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্নাতক ডিগ্রি হচ্ছে এমবিবিএস। তাতেই শেষ না। জান প্রাণ দিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করতে না পারাদের কপালে জোটে ‘সিম্পল এমবিবিএস’ তকমা। মানে প্র্যাকটিস নেই। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও সড়ক দূর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মফস্বল শহরগুলোতে গিয়ে বাধ্যতামূলক প্র্যাকটিস করার কষ্ট কজন জানেন! br> জানেন না বলেই এই মুহূর্তে পেশা হিসেবে সবচাইতে আক্রমণের মুখে ডাক্তাররা। অবলীলায় হামলা হচ্ছে ডাক্তারদের উপর। জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রীদের সফট টার্গেট ডাক্তারেরা। চিকিৎসায় ভুল ধরতে এখন আর ডাক্তারিবিদ্যা জানতে হয় না। লোকজন ডাক্তারের চেয়ে ফার্মেসিতে বসা লোকের পরামর্শ বেশি বিশ্বাস করে ঔষধ কিনে খায়। বাংলাদেশে ডাক্তার নয় এমন লোকজন নামের আগে ডাক্তার লিখে রোগী দেখে। যে দেশে সবাই সর্বরোগের চিকিৎসা দিতে পারে সে দেশে ডাক্তাররা নিগৃহীত হবে তাতে অবাক হওয়ার আসলে কিছু নেই। ছড়াগ্রন্থ ডাক্তার তুই পালিয়ে যা বিভিন্ন সময়ে ডাক্তারদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণের প্রামাণ্য দলিল।
১৯৮৬ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসর’-এ প্রথম ছড়া ছাপা হওয়ার পর থেকে দেশের প্রধান সব দৈনিকগুলােতে নিয়মিতই। তিনি লিখে যাচ্ছেন। ঘুমপাড়ানি ছড়া থেকে। শুরু করে সমাজের অসঙ্গতি- সবই তাঁর ছড়ায় ধরা পড়ে বলে শিশু, কিশাের, কৈশােরউত্তীর্ণ সব বয়স শ্ৰেণীই তাঁর ছড়ার পাঠক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩০ এর বেশি। ছড়াগ্রন্থ কা কা’ এর জন্য নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং রঙিন আমার ছেলেবেলা বৃষ্টি কাদায় মাখার জন্য পেয়েছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযােগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রােমেন রায়হান পেশায় চিকিৎসক ও নেশায় ছড়াকার। ছড়াকার পরিচয় দিতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বােধ করেন।