"শিক্ষা গবেষণায় মাঠকর্ম" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: “...মাঠ তা-ই, যেখান থেকে আমরা শিক্ষা গবেষণার জন্য প্রাথমিক তথ্য পেতে পারি। শিক্ষার সার্বিক অবস্থা বা কোনাে একটি দিক বিশ্লেষণ করার জন্য শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য যেমন প্রয়ােজন হয়, ঠিক তেমনি শিক্ষাকে প্রভাবিত করতে পারে এমন বিষয়াদির তথ্যও প্রয়ােজন হয়। শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য বলতে শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি, পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষকের শিক্ষাগত যােগ্যতা, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষণ-শিখন প্রণালী, বিদ্যালয়ের অবকাঠামাে ও শৃঙ্খলাবিধি, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের শিখন-মান, শিক্ষা কর্মকর্তাদের কর্মপ্রণালীসহ শিক্ষাব্যবস্থার সমস্ত বিষয়সম্পর্কিত তথ্য বােঝায়। অপরদিকে, বিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গনের পরিবেশ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সার্বিক আর্থসামাজিক অবস্থা, শিক্ষা সম্পর্কে সমাজের ধারণা, শিক্ষা থেকে অভিভাবকদের প্রত্যাশা ইত্যাদি হলাে শিক্ষাকে প্রভাবিত করতে পারার মতাে বিষয়াবলি ।...”
“...শিক্ষাসংক্রান্ত সমস্যা থেকে শিক্ষা গবেষণার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা এবং তা থেকে গবেষণার ধরন ও পদ্ধতি ঠিক করা। মনে রাখা দরকার, গবেষণার উদ্দেশ্য যত সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা যাবে, গবেষণার পদ্ধতি নির্ধারণেও ততটা সুবিধা পাওয়া যাবে। গবেষণার মাধ্যমে যা জানতে চাওয়া হচ্ছে, তা যদি সংখ্যাবাচক হয় তাহলে এটি সংখ্যাবাচক গবেষণা, যদি গুণবাচক হয় তাহলে গুণবাচক গবেষণা। কখনাে কখনাে দুটির সংমিশ্রণও ঘটাতে হতে পারে...”