"জোনাকিদের বাড়ি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: একটা বাড়ি, যেখানে অনেক অনেক জোনাকি উড়ত রাতের বেলায় আর যেটাকে সবাই জোনাকিদের বাড়ি বলে জানত, সেখানে থাকত কাজু। সময়ের সঙ্গে সেই। বাড়িটাই ক্রমশ হয়ে ওঠে সবার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। ওই বাড়ি ও তার সঙ্গের জমি ও তাতে প্রােমােটিং নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে দ্বন্দ্ব। তাতে এসে পড়ে সমাজের নানান স্তরের মানুষ। এসে পড়ে লােভ, ঈর্ষা ও হিংসা। এই বৃহত্তর ঘটনার সঙ্গে এই গল্প বুনে চলে। ব্যক্তিগত জীবনের নক্সাও। তাতে আমরা দেখি নােঈকে। দেখি তার মনখারাপ কাটিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানাের গল্প। দেখি আইকার অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসা নতুন মানুষটিকে। আমরা পাই মাহিরের দোলাচল তার বিপন্নতা। পাই পুশকিনের একাকিত্ব ও নির্লিপ্তি। পাই ওর তাড়া করা অতীত থেকে মনে বাসা বাঁধা অনুতাপ। আমরা পাই রাধিয়ার লাজুক, নরম। মনের ভেতরে লালন করা ক্ষত। আর পাই কাজু ও পেখমকে হারিয়ে যাওয়া সময়ের হারিয়ে যাওয়া দুই মানুষকে। আর এদের সঙ্গে আমাদের সামনে আসে বিজন। আসে স্মরণ। আসে পরিতােষের মতাে অনেক চরিত্র। দুই সময়ের গল্পকে সাঁকোর মতাে ধরে রাখে নানান চরিত্ররা। সবার সঙ্গে সবার এক আবছা যােগাযােগে ধীরে ধীরে এক নতুন জীবনের ছবি মূর্ত হয়ে ওঠে। আর এই সব কিছুর সঙ্গে মিলেমিশে থাকে এই কলকাতা শহর। মিলেমিশে থাকে এর গ্রীষ্ম-বর্ষার গল্প। মিলেমিশে থাকে এই শহরের কষ্ট আর মনখারাপের অন্ধকারে বেঁচে থাকা জোনাকির মতাে মানুষদের গল্প।
জন্ম ১৯ জুন,১৯৭৬ কলকাতায়। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। তিনি পৈতৃক ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী নঙ্গী হাইস্কুল থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিন পর পড়া ছেড়ে দেন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী বর্তমান বাংলা সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য লেখক। তরুণ তরুণীদের মধ্যে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কবিতা দিয়ে তাঁর লেখালিখির শুরু। প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় 'উনিশ কুড়ি' পত্রিকার প্রথম সংখ্যায়। প্রথম উপন্যাস 'পাতাঝরার মরশুমে'। তাঁর সৃষ্ট এক অনবদ্য চরিত্র অদম্য সেন। তাঁর শখ বলতে কবিতা, বই, মুভিজ আর ফুটবল।