"কবি ও কবিতার কথকতা" বইয়ের ভূমিকা থেকে নেওয়া: ‘কবি ও কবিতার কথকতা’ গ্রন্থটি কয়েকজন কবির কবিতা নিয়ে লেখা। ব্রিটিশ উপনিবেশ, পাকিস্তানি শাসন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের তিনটি সময়ে লেখা কবিতার ওপর আলোচনা করা হয়েছে। গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে জীবনানন্দ দাশ, সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, আহসান হাবীব, কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ও হুমায়ুন আজাদের কবিতার বিশ্লেষণ। সৈয়দ শামসুল হকের একটি সাক্ষাৎকারও আছে। গ্রন্থবদ্ধ লেখাগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ-সহায়ক হবে। কবিতার বিষয়, আঙ্গিক, কবিদের প্রবণতা, কবিদর্শন লেখাগুলোতে উঠে এসেছে। জীবনানন্দ দাশ, সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমান, আহসান হাবীব, আল মাহমুদ, কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে অনেকেই পিএইচডি করেছেন। সেইসব গবেষণার চেয়ে স্বতন্ত্রভাবে বিন্যস্ত হয়েছে আলোচ্য কবিদের কবিতা। বর্তমানে উল্লিখিত লেখকগণের কেউই বেঁচে নেই। তাদের লেখাই তাদের অমরত্বের মূল শক্তি। সৈয়দ শামসুল হককে নিয়ে কয়েকটি লেখা রয়েছে। কবির জীবন ও সাহিত্য এই লেখাগুলোতে প্রাণ লাভ করেছে। সৈয়দ শামসুল হককে নিয়ে লেখাগুলোয় কবি সম্পর্কে স^ল্পায়তনে সম্যক ধারণা লাভ করা সম্ভব হবে। আল মাহমুদকে নিয়ে যে লেখাগুলো আছে সেখানে কবির প্রগতিবাদী থেকে শাস্ত্রবাদী হয়ে ওঠার বাস্তবতাসহ বিষয় ও আঙ্গিক নিয়ে কথা হয়েছে। গ্রন্থটির সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে, লেখাগুলো বিভিন্ন সমালোচকের চোখ দিয়ে দেখা নয়। এই লেখাগুলো আমার পর্যবেক্ষণপ্রসূত। মৌলিক আলোচনা বলা যায়। কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য এবং রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মধ্যে একটি মিল রয়েছে। প্রথম দুজন লেখক লিখেছেন ব্রিটিশ পর্বে। আর রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ লিখেছেন বাংলাদেশ পর্বে। তিনজনই সেøাগানধর্মিতার ঐক্যসূত্রে অভিন্ন। তাদের এই শিল্প আঙ্গিকের অভিন্নতা নিয়ে লেখা হয়েছে কালিক ভাবনায় নজরুল-সুকান্ত-রুদ্র। সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহকে নিয়ে একাধিক লেখা আছে। বিষয়ের প্রয়োজনে কোনো কবিতার নাম কিংবা দু-একটি পঙ্ক্তি একাধিকবার এসেছে। এ গ্রন্থের প্রতিটি লেখাই একেকটি বড় বড় গবেষণার ভ‚মিকা পাঠের মতো। কেউ যদি উল্লিখিত লেখকগণের বিশেষ একটি দিক নিয়ে বড় কলেবরে গবেষণা করতে চান তার জন্য এই গ্রন্থটি একটি দিকনির্দেশকের মতো কাজ করবে। উল্লেখ্য, ‘কবি ও কবিতার কথকতা’ গ্রন্থটির লেখাগুলো বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত। দীর্ঘ পরিশ্রমে ‘কবি ও কবিতার কথকতা’ বইটি লেখা হয়েছে।
আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান। জন্ম ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৮। জন্মস্থান: ছাটমল্লিক ঊেস, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম। পিতা: মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস। পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। মাতা: মাহমুদা কোরাইশি হেনা। স্ত্রী: চিকিৎসক মুনিরা বেগম, একমাত্র সন্তান অনন্ত নীলিম ঐক্য। তুহিন ওয়াদুদ ২৬তম বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন ২০০৬ সালে। ২০০৯ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
নদী নিয়ে মৌলিক গবেষণার কাজ করছেন, রিভারাইন পিপলের পরিচালক। ‘কুড়িগ্রাম জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’, ‘ভাওয়াইয়া গানের গীতিকার ও শিল্পীদের জীবনী’, ‘রংপুর অঞ্চলের জনজীবনে নদ-নদীর প্রভাব’ ‘শীর্ষক গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। ‘ছিটমহলবাসীর স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা উত্তর জীবন’ এবং ‘রংপুর বিভাগের পাঠাগারভিত্তিক পাঠগ্রহণ : স্বরূপ সন্ধান’ শীর্ষক গবেষণারত।
প্রকাশিত গ্রন্থ : জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের ছোটগল্প: বিষয়বৈচিত্র্য ও শিল্পরূপ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচিত্র পর্যায়ের গান রংপুর অঞ্চলের নদ-নদী