নাজ্জারাতু মুআল্লিমিন ওয়া নাজারাতুহু ✔কিতাবটির কিছু বৈশিষ্ট্য ☑মনের ভাব লিখিত আকারে প্রকাশের জন্য নিয়মিত রোজনামচা লেখার বিকল্প নেই। আরবী রোজনামচার বিশাল সমগ্রে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকৃতির আরবি রোজনামচার প্রচুর সংখ্যক উদাহরণ পাবে। ☑কিতাবটি লেখক এর জীবনের অধ্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ, উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার চিত্রায়ন। এর পাতায় পাতায় গেঁথে আছে লেখক এর হৃদয় ও হৃদয়ধ্বনি। তাই এটি লেখকের শুধুই দিনলিপির মলাটবদ্ধ করণ নয়। ☑আরবি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষার্থীদের জন্য 'আদর্শ আরবী পাঠ' অধ্যয়নের বিকল্প নেই।কওমি মাদরাসার দাওরা হাদিসের সনদ কে মাস্টার্স ডিগ্রির মান প্রদান, শুকরানা মাহফিল ইত্যাদি বিভিন্ন সমকালীন ইস্যু মানসম্মত আরবী ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে এ কিতাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত 'আদর্শ আরবী পাঠ' অধ্যয়ন করার সুযোগ লাভ করবে। ☑কিতাবের শেষে মাআনিল শিরোনামে দীর্ঘ ৭২ পৃষ্ঠায় বিস্তারিত শব্দার্থ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে হেদায়াতুন্নাহু উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিবেচনা করা হয়েছে।ফলে এ মানের যে কোন যোগ্য শিক্ষার্থী এ কিতাবটি পাঠ করে উপকৃত হতে পারবে ইনশাআল্লাহ। ☑'শিক্ষার্থীদের সফলতার রাজপথ; 'লেখাপড়ার আদর্শ পদ্ধতি' ও লেখকের বাংলা রোজনামচাসমগ্র 'একজন শিক্ষক: দর্পণ ও দর্শন ১-৩' বই গুলোর মত এ কিতাবে রয়েছে শিক্ষার্থীদের সঠিক মানসিকতা তৈরি ও লেখাপড়ার পদ্ধতি বিষয়ক বহু উপাদান। ☑শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ এ কিতাবে আকাবির- আশলাফের সালামতে ফিকর, জামালে খুলুক, ছালাহে আমল ও কামালে ইলমের অনেক দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করবেন। ☑আরবী ভাষা অবগত পাঠকদের পাশাপাশি আরব পাঠকগণও কিতাবটিতে পাবেন নিজেদের প্রয়োজনীয় অনেক উপাদান।
বাংলাদেশে আরবিভাষার প্রাণপুরুষ তিনি। রচনা করেছেন অসাধারণ কিছু গ্রন্থ। জন্ম কুমিল্লার চান্দিনা থানাধীন বসন্তপুর গ্রামের পূর্ব ভূঁইয়াপাড়ায়। ১৯৭২ ঈসায়ির ১৮ মার্চ। পড়ালেখার হাতে খড়ি পিতা আবদুল কাদির ও মাতা রাবেয়া খাতুনের কাছে। দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন প্রথমে ১৪১৫-১৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষে বারিধারা মাদরাসায়; ১৪১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে দেওবন্দে গ্রহণ করেছেন ‘আরবি সাহিত্যে’র উচ্চতর পাঠ। তিনি মাওলানা আবদুল মতিন বিন হোসাইনের নিকট বাইয়াতের ইজাযতপ্রাপ্ত হন ১৪৩৩ হিজরিতে। ‘মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা’, ‘জামালুল কুরআন মাদরাসা’ গেণ্ডারিয়া, ‘আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানীনগর ঢাকা’য় হাদিসের উস্তাদ এবং আরবিভাষা ও সাহিত্য বিভাগে’র তত্ত্বাবধায়ক উস্তাদের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ‘মাহাদুশ শায়খ ফুআদ লিদ্দিরাসাতিল ইসলামিয়া ঢাকা’য় অবস্থান করছেন।