সামনে বিশাল সমুদ্র, উত্তাল। পেছনে বন পাহাড়ের ছড়াছড়ি। মাঝখানে ক্রিসেন্ট ভ্যালি, বাঁকা চাঁদ। দু’পাশে অপেক্ষাকৃত সরু আর চিকন, মাঝে চওড়া। সমুদ্রের দিকে ক্রমশ ঢালু, আর পাহাড়ের দিকে কেবল চড়াই আর উত্রাই। এটাই আমার জন্মভূমি। ক্রিসেন্ট ভ্যালি। এখানেই আমার জন্ম। আমার নাম জুয়ানা। ক্রিসেন্ট লেক কলেজে আমি পড়ি। ক্রিসেন্ট ভ্যালির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার দায়িত্বে যে পাঁচজন মেধাবীর উপর তাদের মধ্যে আমিও একজন। বাকীরা হলাে হ্যাগার্ড, পল, অ্যালান আর মেরিনা। পাঁচজনের মধ্যে মেরিনা-ই শুধূ স্কুল লেভেলের আর বাকীরা সবাই কলেজ লেভেলের। হ্যাগার্ড দূরন্ত আর অতি সাহসী ধরনের ছেলে। পল হলাে পড়ুয়া আর অনুসন্ধানী টাইপের। বন্ধুরা বলে পল হলাে বুদ্ধিজীবী। অ্যালান দেখতে সবচেয়ে সুন্দর আর করিঙ্কর্মা। আর মেরিনা দূর্দান্ত চটপটে টাইপের মেয়ে। আর আমি জুয়ানা। শান্ত টাইপের মেয়ে। কেউ অহেতুক না ঘাটালে আমার মতাে শান্ত টাইপের মেয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না এই ক্রিসেন্ট ভ্যালিতে। কিন্তু কেউ যদি তা করতে আসে, তবে আমি তার শেষ দেখে ছাড়ি। এরকম ছয়টি গল্প নিয়ে ইউনুস আহমেদের সায়েন্স ফিকশন গল্প সংকলন ‘ইকারাসের ডানা'।
Yunus Ahmed। জন্ম: ৩১ মার্চ ১৯৭১, ঢাকা। বাবা : আফতাব উদ্দিন আহমেদ। মা : ফাতেমা খাতুন। ভূগোল বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স। একটি বেসরকারী কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। কিশোর বয়সে লেখালেখির হাতেখড়ি। জাতীয় দৈনিকসমূহের শিশুসাহিত্যপাতাসহ বিভিন্ন শিশু-কিশোর পত্রিকায় গল্প,ছড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করছেন। সায়েন্স ফিকশন, মুক্তিযুদ্ধ তাঁর লেখালেখির প্রিয় বিষয়। ‘অরুণবর্ণ’ নামে একটি শিশু-কিশোর ত্রৈমাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করছেন। মূলত তিনি একজন কথাসাহিত্যিক ও সায়েন্স ফিকশন লেখক। তার সাহিত্যকর্মসমূহঃ সায়েন্স ফিকশন: এলিয়েনের সাইকেল(২০১৪), ভিনগ্রহের বাসিন্দা(২০১৭), পিচ্চি অ্যালিয়েনের কান্ড(২০১৮),মঙ্গল গ্রহের টিয়ানা(২০১৯)। কিশোর গল্প: ক্লাস ক্যাপ্টেন ও চার গোয়েন্দা(২০১৫),লাল পাহাড়ে আতংক(২০১৬), দুষ্টদের চড়–ইভাতি(২০১৭), লাষ্টবেঞ্চের ফাষ্টবয়(২০১৮)। স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা,দুই সন্তান রাদিফা ও রিয়াসাকে নিয়ে তাঁর নিজস্ব জগত যা তাকে লেখার অনুপ্রেরণা যোগায় নিরন্তর।