প্রচ্ছদ থেকে নেওয়া ছুটতে ছুটতে বটগাছটার ঠিক আড়ালে এসে দাঁড়ালাম। ধূপ করে বটগাছটার একটা প্রকান্ড শিকড়ের ওপর বসে পড়লাম আমরা তিনজন। গাবলুটা বেশ হাঁপাচ্ছে। টুটুনেরও একই অবস্থা। আমার নাম রুহান। আমি আর টুটুন একই স্কুলের ছাত্র। ক্লাস সেভেনে পড়ি। গাবলুও একই ক্লাসের কিন্তু ও অন্য স্কুলে পড়ে। গােয়েন্দাগিরি করতে গিয়েই গাবলুর সাথে পরিচয়। প্রথম সাক্ষাতেই গাবলুকে আমাদের ভাল লেগে যায়। সেই থেকেই আমরা তিন বন্ধু গােয়েন্দা। আজও গােয়েন্দাগিরির কাজেই বের হয়েছিলাম। টুকটাক গােয়েন্দাগিরি করতে আমাদের ভালই লাগে। আমরা তিনজন শখের গােয়েন্দা। বুনিয়া নদী পার হয়ে এখানে এসেছি আমরা। টুটুন গাবলুকে বলল, এ্যাই, তুই এতাে হাঁপাচ্ছিস কেন? তাের পেটওতাে সমানতালে দুলছে। গাবলু কাঁপতে কাঁপতে বলল,বাবারে,বাবা! টমিটা আমাদের ওভাবে ধাওয়া করবে তা কী আর জানতাম! আরেকটু হলেইতাে গেছিলাম। গাবলু বেশ ধরাস গলায় বলল ‘টমি’ নয় যেন সাক্ষাত বেঙ্গল টাইগার। বড় বাঁচা বেঁচে গেছি আমরা- আমি।বললাম। জলপদ্ম গ্রামে এসেছি আমরা। জলপদ্ম! কেমন সুন্দর একটা নাম। কিন্তু এই গ্রামে সেই ভয়ানক লােকটি আশ্রয় নিয়েছে। মানে লুকিয়েছে। ওকে ধরতে না পারলে অতিথি পাখি মেরে শেষ করে দেবে। ছােটদের গােয়েন্দা কাহিনি।
Yunus Ahmed। জন্ম: ৩১ মার্চ ১৯৭১, ঢাকা। বাবা : আফতাব উদ্দিন আহমেদ। মা : ফাতেমা খাতুন। ভূগোল বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স। একটি বেসরকারী কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। কিশোর বয়সে লেখালেখির হাতেখড়ি। জাতীয় দৈনিকসমূহের শিশুসাহিত্যপাতাসহ বিভিন্ন শিশু-কিশোর পত্রিকায় গল্প,ছড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করছেন। সায়েন্স ফিকশন, মুক্তিযুদ্ধ তাঁর লেখালেখির প্রিয় বিষয়। ‘অরুণবর্ণ’ নামে একটি শিশু-কিশোর ত্রৈমাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করছেন। মূলত তিনি একজন কথাসাহিত্যিক ও সায়েন্স ফিকশন লেখক। তার সাহিত্যকর্মসমূহঃ সায়েন্স ফিকশন: এলিয়েনের সাইকেল(২০১৪), ভিনগ্রহের বাসিন্দা(২০১৭), পিচ্চি অ্যালিয়েনের কান্ড(২০১৮),মঙ্গল গ্রহের টিয়ানা(২০১৯)। কিশোর গল্প: ক্লাস ক্যাপ্টেন ও চার গোয়েন্দা(২০১৫),লাল পাহাড়ে আতংক(২০১৬), দুষ্টদের চড়–ইভাতি(২০১৭), লাষ্টবেঞ্চের ফাষ্টবয়(২০১৮)। স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা,দুই সন্তান রাদিফা ও রিয়াসাকে নিয়ে তাঁর নিজস্ব জগত যা তাকে লেখার অনুপ্রেরণা যোগায় নিরন্তর।