মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী নাম। আরব মরুর মরীচিকা ভেদ করে তাওহিদ ও ঐশী আদর্শের মশাল নিয়ে সভ্যতার রাজপথে ইতিহাস পালটে দেওয়া এক বিপ্লব ও বিপ্লবী। তাঁর নাম, গুণ ও জয়জয়কারের চর্চা তাঁর শুভাগমনের হাজার বছর পূর্ব হতে চলে আসছে। তাওরাত ও ইঞ্জিলের মতো আসমানী গ্রন্থ ছাড়াও ইতিহাসখ্যাত নানা ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও গ্রন্থ তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। পৃথিবীজুড়ে সত্যান্বেষী, মানবতাবাদী ও মুক্তিপিয়াসী মানুষের কাছে আদর্শের এক ও অনন্য অনুপম চরিত্র তিনি। অন্যদিকে মিথ্যেবিলাসী, আঁধারসন্ধানী ভ্রান্ত পথের পাপীদের কাছে তাঁর প্রতিটি বাণী ও অর্জন যেন এক একটি সুচালো আঘাত। ইতিহাস বলে সত্যের সন্ধানে নেমে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পূর্ব থেকে পশ্চিম কিংবা উত্তর থেকে দক্ষিণ, তাঁকে নিয়ে মাতামাতি হয়েছে সর্বত্র সর্বযুগে। জন্মের হাজার বছর আগে যার আবেদন সৃষ্টি হয়েছে মানবতার বুভুক্ষু আদর্শযাত্রায়, তা বিন্দুমাত্র কমেনি একবিংশ শতাব্দীর চোখধাঁধানো সভ্যতায় এসেও; বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এ যেন এমন সরোবর, যার প্রতিটি চুমুক তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয় আরও এক চুমুক পান করার। ইতহিাস তাই তাঁকে নিয়ে নানামুখী আলোচনায় মুখর। দিনশেষে অবশ্য জগৎজুড়ে সত্য ও সুন্দরেরই জয়জয়কার। মোহরে নবুওয়াত তাঁর জীবনাদর্শের বিশাল উপাখ্যানের একটি ক্ষুদ্র প্রকাশমাত্র। উর্দু মোহরে নবুয়াত অত্যন্ত সংক্ষেপে কালজয়ী এই মহামানবকে উপস্থাপনের যে চেষ্টা চালিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বাংলা অনুবাদে তাঁর সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় আরও কিছু অংশ। সাধারণ পাঠকের জন্য সংক্ষেপে নবীজীবনের এতকিছু জানতে পারা তৃপ্তির এক বড় উপলক্ষ্য যে বয়ে আনবে এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।