"ক্রীড়াবিদদের স্মৃতিপটে বঙ্গবন্ধু" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: সেই ব্রিটিশ ভারতে প্রত্যন্ত একটি গ্রামে বসবাস করেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন আধুনিক ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি তিনি খেলাধুলা করতেন, গান গাইতেন আর ব্রতচারী করতেন। তখনকার প্রেক্ষাপটে এটি মােটেও অনায়াস ও সহজসাধ্য ছিল না। অগ্রসর ও পরিণত মনের মানুষ ছিলেন বলেই তিনি নিজেকে সপ্রতিভ ও চৌকস হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। স্কুল টিমের হয়ে খেলতেন ফুটবল, ভলিবল ও হকির মতাে হালজমানার খেলা। এ খেলাগুলােও দূরবর্তী একটি মহকুমা শহরের স্কুলের ছাত্র হয়ে রপ্ত করাটা সহজাত প্রতিভা ছাড়া সম্ভব ছিল না। সম্ভবত খেলাধুলা করার অনুপ্রেরণা এসেছে পারিবারিক সূত্রে। পিতৃপুরুষদের সময় কাটতাে দিনভর দাবা আর পাশা খেলে। এ কারণে দাবা খেলাটার প্রতি তাঁর ছিল সহজিয়া ঝোক। পুকুরের টলটল পানিতে সাঁতার কেটেছেন মনের আনন্দে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে খেলাধুলায় ব্যাঘাত ঘটে তদুপরি রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে পড়ায় খেলাধুলা করার সুযােগ ছিল না। কিন্তু খেলাধুলার আকর্ষণ কখনােই এড়াতে পারেননি কলকাতায় লেখাপড়া ও রাজনৈতিক ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় খেল ফুটবল দেখতে যেতেন। দেশভাগের পর ঢাকায় এসে রাজনৈতিক আন্দোলনে সার্বক্ষণিকভাবে ব্যতিব্যস্ত থাকেন। অধিকাংশ সময় কারাবন্দি থাকতেন। তারপর এরই মাঝে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যােগাযােগ রাখতেন। প্রাদেশিক মন্ত্র থাকার সময় পূর্ব পাকিস্তানের ক্রিকেটে অবদান রাখেন। সে সময়ে ক্রীড়া সংগঠকদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল।