ইতিহাসের বাস্তবকে শিল্পের বাস্তবতায় রূপান্তর করার কাজ সহজ নয়-বিশেষ করে তা যদি হয় সাম্প্রতিক কিংবা অব্যবহিত বাস্তব। এই গল্পগ্রন্থের লক্ষ্য সেই সীমানা, যেখানে জগতের প্রতি দায় আর শিল্পের প্রতি তার অঙ্গীকার একসঙ্গে মেলে। পাঠকের বোধ আর অনুভূতিকে তাড়িয়ে বেড়াবে এই বইয়ের অসহনীয় সব দৃশ্য। এর পুরো কৃতিত্ব লেখকের স্যাটায়ারধর্মী বর্ণনা ভঙ্গির। কল্পনার চেয়েও অবাস্তব যে বাস্তবতা, তাকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে পুনর্নিমাণ করে পাঠকের চেতনাকে চাবুক মেরে জাগিয়ে তুলেছেন গল্পকার। শারদোৎসব বাংলাদেশে জাতিগত আগ্রাসনের এক হাইলাইট- গা-শিউরানো ঐতিহাসিকতার শিল্পরূপ।
ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে নয় (সাহিত্যকে ঐতিহাসিক দলিলের মর্যাদা দেওয়া, না দেওয়া নিয়ে তর্ককে আমলে না নিয়ে বলছি), বরং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের বেদনা ও যন্ত্রণার স্মৃতিকে সতত বাঁচিয়ে রাখার জন্য, সেই স্মৃতি দিয়ে আমাদের উদারতা ও সম্প্রীতির ইতিহাসকে আক্রান্ত করার জন্য শারদোৎসব বইটি অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। আমাদের বেদনার স্মৃতিগুলো বাঁচিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখার জন্য প্রশান্ত মৃধাকে মোবারকবাদ। শারদোৎসব বইটিকে সালাম-নমস্কার