২০১০ সালের ২৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একেবারে শুরু থেকেই এই ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও বিচারবিরোধী ব্যক্তিরা ক্রমাগতভাবে অপপ্রচার চালাতে থাকে। এই অপপ্রচার ভেঙ্গে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এর মধ্যে বড় একটা অপপ্রচার ছিল, রাষ্ট্রপক্ষ জোর করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষী ‘ধরে’ নিয়ে এসেছে এবং অভিযুক্তদের ফাঁসি দিয়ে দিয়েছে এমন ধরনের বক্তব্য। কিন্তু আসলেই কি ব্যাপারটা তাই? এই গ্রন্থটি আসলে পাল্টা প্রশ্নটি তুলেছে যে, বিবাদী পক্ষ কীভাবে তাদের মামলা পরিচালনা করেছে? তারা কি আদৌ যুক্তি-তর্ক, তথ্য-উপাত্ত পরিপূর্ণভাবে দিতে পেরেছে আদালতকে? তারা কি আসলেই সঠিকভাবে মামলার প্রস্তুতি নিয়ে মামলা লড়েছে? রাষ্ট্রের চাপে নয় বরং বিবাদী পক্ষ হেরেছে মিথ্যাচারের কারণে। মিথ্যে সাক্ষী এনে আদালতকে ধোকা দেবার কারণে। সে প্রেক্ষিতে আমি এইবার প্রশ্ন তুলেছি বিবাদী পক্ষের হয়ে আসা সাফাই সাক্ষীদের বিরুদ্ধে। তাদের সাক্ষ্যের কার্যকারিতা নিয়ে, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। আর সে কারণেই এই গ্রন্থের অবতারনা। সাধারণ জনতার জানবার অধিকার রয়েছে যে বিবাদীপক্ষ মামলায় হেরে যাবার একটা বড় কারণ ছিল তাদের পক্ষে আসা অদ্ভুত ও হাস্যকর সাফাই সাক্ষীগুলো যাদের কারো কারো ‘গায়েবী নাম’ মিস্টার ‘এক্স’, মিস্টার ‘ওয়াই’, মিস্টার ‘এ’ কিংবা মিস্টার ‘বি’। সাধারণ জনতা জানুক অপপ্রচারের ঠিক পাল্টা দিকে আরও কিছু জানবার থেকে যায়...বুঝবার থেকে যায়।
Title
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ : বিবাদী পক্ষের অদ্ভুত সাক্ষীগুলো