ভালােবাসা হীন জীবন মরুর মতােন। লেখক তার গল্প গুলােতে ভালােবাসাকে ভীষণ ভাবে প্রাধান্য দিয়েছেন। ভালােবাসার দায়ে মায়াছড়ায়ে থাকে। তারই মাঝে স্বর্গ মেলে। জীবন তরী ঢেউয়ের দোলায় দুলে চলে। রঙধনুর সাত রঙ ছড়িয়ে থাকে জীবনের আকাশটায়। সুখ-দুঃখের জোয়ার আসে জীবন নদীতে। লড়াই করে জয়ী হয়েছিল ডাঃ মধুরিমার মা। তেমনি পঙ্গুত্ব হীরাকে দমাতে পারেনি। খেলার প্রতি প্রচণ্ড ভালােবাসা ছিল বলেই হুইল চেয়ারে বসেইখলােয়াড় হয়েছে সে। জীবনে প্রাচুর্যতা না থাকলেও হৃদিতা ও আরাফের মধুচন্দ্রিমা যাপন চলতেই থাকে যুগ যুগ ধরে।। ভালােবাসার বাসর আর হলাে না বাসরী লতার। সুদীপ্তের রিমঝিম ভালােবাসায় ভিজেই চলেছে জয়িতা। মা-বাবার ভালােবাসা, মায়া-মমতা হীন জীবন শুষ্ক কাঠ যেমন। মায়ার বাঁধন ছিড়ে যায় সুদীপ্ত ও সুজনের। অনিশ্চিত জীবনে পাড়ি জমায় তারা। ভালােবাসার অনুভবেই স্বদেশ মুখাে হয় সেজান। কিন্তু, পারিজা কি ফিরে পায় সেই সেজানকে? সবাই ভালােবেসেই স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নগুলাে কখনও কখনও ভেঙ্গে চুরমার হয়। ভালােলাগা, ভালােবাসায় মানুষ কিছুটা ঘােরের মধ্যে থাকে। অংকে পাকা হয়েও জীবনের অংক কষতে ভুল করে ফেলে। শরীফা বেগম প্রয় ভূমিকে ভালােবেসে কাছের মানুষকে রক্তস্রোতে ভাসাতে দ্বিধা করেননি। আর অপরাজিত তে শেষটায় ভালােবাসার হাতকড়ায় বন্দি হলো। কারাগারের হাতকড়ায় বন্দি হতে কেউই চায় না। তবে অপরাজিতা ও নীলিমের মতে অমর সবাই ভালােবাসার হাতকড়ায় বন্দিই হতেই চাই... জন্ম... আজন্ম...জন্মান্তরে।
বছরের স্নিগ্ধতম মাস অক্টোবরের ১৫ তারিখে শাবানা ইসলাম বন্যার জন্ম। লেখকের জন্মের ঋতু শরৎ। ঐশ্বর্য, প্রাচুর্যের চেয়ে স্নিগ্ধতা, নির্মলতাকে প্রাধান্য দেন তিনি। একজন মুক্তিযোদ্ধা বাবার কন্যা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করেন। বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তানটির নিজের কিছু কাগুজে সন্তান রয়েছে। তিনি ইতিমধ্যে তাদের পরিচয়েও পরিচিত। ১: একমুঠোয় হৃদকথন- কাব্যগ্রন্থ ( পেন্সিল পান্ডুলিপি বিজয়ী ২০১৯ ) ২: মনপাড়ার আওয়াজ - কাব্যগ্রন্থ ( চলন্তিকা সাহিত্য পুরস্কার ২০২১) ৩: ভালোবাসার হাতকড়া -গল্পগ্রন্থ ( শিখা প্রকাশনী ২০২০) ৪: আলোর নূপুর - উপন্যাস ( সাহিত্য দিগন্ত পুরস্কার ২০২২) ৫: তিয়াসা - গল্পগ্রন্থ (গল্পগ্রন্থে চলন্তিকা বেস্টসেলার পুরস্কার ২০২২) ৬: মেঘবাড়ির জল আমি- কাব্যগ্রন্থ (কাব্যগ্রন্থে চলন্তিকা বেস্টসেলার ২০২৩) এছাড়াও আরশি নগর ফাউন্ডশন কতৃক 'ওমেন্স গ্রান্ড পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড' ২০২৩ এবং ভাষা কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কতৃক ২০২৩ - এ 'আলোকিত নারী'র পুরস্কার পেয়েছেন । অবসরে বইপড়া, গান শোনা এবং আবৃত্তি করা তার নেশা। বাংলাদেশ নারী লেখক সোসাইটির একজন সাহিত্য সম্পাদক তিনি। কালের কাব্যকথা- ৩ ও ৪ সম্পাদনা করেছেন। ২০২৪ এর বইমেলায় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ "অর্পূবা"। লেখকের এটি তৃতীয় গল্পগ্রন্থ। তবে বইয়ের সংখ্যায় ৭ম। 'অর্পূবা' গল্পগ্রন্থটি পাঠকের ভালোবাসার হাতকড়ায় বন্দি হতে চায়।