তোমার অবসর সময়টুকু একটি অশোধিত হিরার টুকরোর মতো। চাইলে তা দ্বারা অত্যন্ত মূল্যবান কিছু তৈরি করতে পারো। আবার চাইলে তাকে সাধারণ পাথরের মতো পদদলিত করে নষ্টও করে ফেলতে পারো। এতে তোমাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তুমি যা ইচ্ছে, তা-ই করতে পারো। জুন মাক্সউইল তার TODAY MATTERS নামক বইতে বলেছে : 🔘যদি তুমি একটি পূর্ণ বছরের গুরুত্ব অনুধাবন করতে চাও, তাহলে শেষ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া একজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করো। 🔘যদি একটি মাসের মূল্য বুঝতে চাও, তাহলে একজন মাকে জিজ্ঞাসা করো। যিনি দীর্ঘ দশ মাস সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার পর প্রসব করেছেন। 🔘যদি একটি সপ্তাহের গুরুত্ব বুঝতে চাও, তাহলে সাপ্তাহিক পত্রিকার একজন সাংবাদিক বা সম্পাদককে জিজ্ঞাসা করো। 🔘যদি তুমি একটি দিনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে চাও, তাহলে একজন দিনমজুরকে জিজ্ঞাসা করো। যে তার উপার্জনের অর্থ দিয়ে ছয়জন সন্তানকে লালনপালন করে। 🔘যদি তুমি একটি ঘণ্টার গুরুত্ব বুঝতে চাও, তাহলে দুজন প্রেমিক-প্রেমিকাকে জিজ্ঞাসা করো। যারা একে অপরের সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছে। 🔘যদি একটি মিনিটের গুরুত্ব অনুধাবন করতে চাও, তাহলে এমন একজন মুসাফিরকে জিজ্ঞাসা করো, যার ফ্লাইট মিস হয়েছে। 🔘যদি একটি সেকেন্ডের গুরুত্ব বুঝতে চাও, তাহলে সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করো, যে অল্পের জন্য বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। 🔘যদি তুমি একটি ন্যানো সেকেন্ডের গুরুত্ব বুঝতে চাও, তাহলে একশ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় সিলভার ম্যাডেল পাওয়া একজন বিজয়ীকে জিজ্ঞাসা করো।
ড. খালিদ আবু শাদি খালিদ আবু শাদি মিসরের একজন প্রতিভাবান দায়ি ইলাল্লাহ। ১৯৭৩ সালের ১৮ মার্চ গারবিয়াহ প্রদেশের জিফতা নগরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন কুয়েতে। তারপর মিসরের কায়রো ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি ফ্যাকাল্টি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। শৈশব থেকেই তিনি প্রখর মেধা ও অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কর্মজীবনের একটি বড় সময় তিনি দাওয়াহর কাজে ব্যয় করেন। লেখালেখিকেই তিনি দাওয়াহর মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। তাঁর স্বতন্ত্র রচনাশৈলী আর হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনা সহজেই পাঠকদের নজর কাড়ে। মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার অদ্ভুত এক শক্তি আছে তাঁর কলমে। দাওয়াহ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় একে একে তিনি উম্মাহকে উপহার দেন ১৪টিরও বেশি মূল্যবান গ্রন্থ। ‘ইয়ানাবিউর রাজা’, ‘মাআন নাসনাউল ফাজরাল কাদিম’, ‘সাফাকাতুন রাবিহা’, ‘লাইলি বাইনাল জান্নাতি ওয়ান নার’, ‘বি-আইয়ি কালবিন নালকাহ’ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অসংখ্য মূল্যবান প্রবন্ধ। কখনো বক্তৃতাকেও তিনি দাওয়াহর মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাঁর হৃদয়-নিংড়ানো আহ্বান অসংখ্য পথহারা তরুণকে দ্বীনের পথে উঠে আসার প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা প্রতিভাবান এই দায়ি ইলাল্লাহর দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করি।