বাংলা একাডেমির সাবেক উপপিরচালক ড. মোমেন চৌধুরী লালনের প্রতি প্রবল আগ্রহ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রবন্ধ লিখেছেন। এসব লেখার অনেকগুলোই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রবন্ধগুলো যদিও বেশ পুরোনো এবং লালনকে নিয়ে নিরন্তর গবেষণার ফলে পরবর্তীকালে অনেক নতুন নতুন তথ্য জানা গিয়েছে। কয়েকটি প্রবন্ধ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত দুটি বই লোকসংস্কার ও বিবিধ প্রসঙ্গ (১৯৯৭) এবং বিষয়-বৈচিত্র্যে ফোকলোর (২০০৮) থেকে নেয়া হয়েছে লালন বিষয়ক লেখাগুলোকে একত্রিত করার জন্যই। প্রবন্ধগুলো ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে রচিত। বাংলা একাডেমির প্রমিত বানান অনুযায়ী লেখাগলো পরিমার্জন করা হয়েছে।br লালন (১৭ অক্টোবর, ১৭৭৪ - ১৭ অক্টোবর, ১৮৯০)ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল। বাংলা একাডেমির সাবেক উপপিরচালক ড. মোমেন চৌধুরী লালনের প্রতি প্রবল আগ্রহ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রবন্ধ লিখেছেন। এসব লেখার অনেকগুলোই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রবন্ধগুলো যদিও বেশ পুরোনো এবং লালনকে নিয়ে নিরন্তর গবেষণার ফলে পরবর্তীকালে অনেক নতুন নতুন তথ্য জানা গিয়েছে। কয়েকটি প্রবন্ধ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত দুটি বই লোকসংস্কার ও বিবিধ প্রসঙ্গ (১৯৯৭) এবং বিষয়-বৈচিত্র্যে ফোকলোর (২০০৮) থেকে নেয়া হয়েছে লালন বিষয়ক লেখাগুলোকে একত্রিত করার জন্যই। প্রবন্ধগুলো ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে রচিত। বাংলা একাডেমির প্রমিত বানান অনুযায়ী লেখাগলো পরিমার্জন করা হয়েছে।br লালন (১৭ অক্টোবর, ১৭৭৪ - ১৭ অক্টোবর, ১৮৯০)ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।
মোমেন চৌধুরী ফোকলোরবিদ, শিশুসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। জন্ম ১লা নভেম্বর ১৯৩৬, সাতক্ষীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, গ্রন্থাগারবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা এবং লোকতাত্ত্বিক গবেষণায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগদান এবং ১৯৯৪ সালে উপপরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর প্রণীত গ্রন্থাবলি যথাক্রমে-গবেষণাগ্রন্থ : বাংলাদেশের লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান : জন্ম ও বিবাহ (১৯৮৮), লোকসংস্কার ও বিবিধ প্রসঙ্গ (১৯৯৭), বিষয় বৈচিত্র্যে ফোকলোর (২০০৮); জীবনীগ্রন্থ : মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (১৯৮৮); কোষগ্রন্থ : নজরুল সাহিত্য : প্রবাদ প্রবচন বাগধারা (১৯৯৯); পঞ্জি : লালন বিষয়ক রচনাপঞ্জি (১৯৯৫), বাংলাদেশের ফোকলোর রচনাপঞ্জি (যৌথ-১৯৮৭)। সংবর্ধনা ও পুরস্কার : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব কর্তৃক সংবর্ধিত (১৯৯২), দেওয়ান আবদুল হামিদ পুরস্কার, কায়কোবাদ সাহিত্য মজলিস (১৯৯৬) এবং সাতক্ষীরা সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার (২০০২) । মৃত্যু : ২রা জুলাই ২০০৯, ঢাকা।