“স্বাধীনতার মিছিল" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ সত্য মিথ্যার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। শাসক-শাসিতের দ্বন্দ্ব অনাদিকালের । জাতীয় বেইমানদের অস্তিত্ব সর্বযুগে, সর্বকালে। বিশ্বময়। অযুত-নিযুত দেশপ্রেমিক জনতার সফেদ চেতনায় দেশপ্রেম, শােষণ মুক্তির আকাক্ষা কখনও উচ্চকিত আবার কখনও নিস্তব্ধ। বিরতিলমি ফরাসিদের গােলাম। বিনিময়ে পদপদক-পদবি লাভ তার জীবনের লক্ষ্য। হিলদা বিরতিলমির কন্যা। সােজা-সাপ্টা বুঝ তার । প্রত্যাশা, স্বস্তির-শান্তির নিঝঞ্ঝাট জীবন । প্রেমময় অনাবিল আনন্দের জীবন তার । ইবরাহিম দেশপ্রেমিক যােদ্ধা । হিলদাকে নিয়ে স্বাধীন জীবন যাপনের নেশায় সে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে । ফরাসিদের প্রতিরােধ করে। আহত হয় । ফেরারি হয় । হিলদাকে খুঁজে ফিরে অনন্ত প্রেমের টানে। আলহাজ্ব মুস্তাফা বিশতিলি । বিশিষ্ট ব্যবসায়ী । দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ । দেশ, দেশত্ববােধ, নির্যাতিত জনতা, দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়েই তার সব ভাবনা । তার বাড়িতে আক্রমণ, ব্যবসাকেন্দ্রে লুটপাট- তবুও মিসর ছাড়ে না । চিন্তার কুল-কিনারা পায় না। বিশতিলির কন্যা জয়নব। সতী-সাধ্বী, পর্দানশীন সুসভ্য মিসরী কন্যা । স্বাধীন সুর্যোদয়ের অপেক্ষায় দিন গােনে। ঝঞামুক্ত মিসরের প্রতীক্ষা করে । টগবগে তাগড়া যুবক মুস্তাফা । ফরাসি বাহিনীর আতঙ্ক সে। যুদ্ধ জয়ে মােহাবিষ্ট । জয়নব-মুস্তাফার পরিণয়ে প্রতিশ্রুত। কিন্তু যুদ্ধ থেকে ফেরা হয় না। মুস্তাফার । অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘায়িত হতে থাকে । জয়নব মুস্তাফা ফিরে আসবে সেই আশায় দিন কাটায়। হিলদা চেয়ে থাকে- ইবরাহিম এমবাবা থেকে শীঘ্র ফিরে আসবে । কিন্তু বিরতিলমি তার মেয়েকে উৎসর্গ করতে চায় ফরাসিদের সম্মানে। স্বাধীনতার মিছিল এক জীবনঘনিষ্ঠ ঘটনাবহুল রূদ্ধশাস কাহিনী নির্ভর উপন্যাস। ঘটনাচক্রে একদিকে বিশতিলি অন্যদিকে বিরতিলমি । একদিকে দেশপ্রেম অপরদিকে গাদ্দারি । ষড়যন্ত্র আর সরলতা, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব। কার ভগ্যে বিজয়ের মালা? জয়ের মুকুট কার ললাটে? শাসরুদ্ধকর বাস্তবতার এক জীবন্ত কাহিনী স্বাধীনতার মিছিল । বইটি নাজিব কিলানির এক অসাধারণ সৃষ্টি।