"ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন বিজ্ঞানীরা। কল্পনাতীত সব নতুন আবিষ্কার আমূল পালটে দিতে থাকে রিয়েলিটি বা বাস্তবতার ধারণা। বিজ্ঞানীরা জানলেন, একসময় যা মনে হতাে স্বতঃসিদ্ধ ঘটনা, সেগুলাে আসলে সত্যিকার বাস্তবতার এক অতি ক্ষুদ্র অংশমাত্র! আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, বিগ ব্যাং থেকে শুরু করে প্রতিটি নতুন আবিষ্কারই যেন বিজ্ঞানীদের রীতিমত পরিহাস করছিল, এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানাে তােমরা!” এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি বড় ধাক্কা এলাে শতাব্দীর শেষভাগে, যখন বিজ্ঞানীরা জানলেন এক অদ্ভুত তথ্য! মহাবিশ্বের দুই ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি, নীহারিকা, ব্ল্যাকহােল, মহাজাগতিক মেঘ গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি সর্বসাকুল্যে আমাদের যা কিছু জানা আছে, তা মহাবিশ্বের শতকরা হিসেবে মাত্র ৫ ভাগ! বাকি ৯৫ ভাগ সম্পূর্ণ ব্যাখ্যাতীত রহস্যময় এক ধরনের অজানা বস্তু ও শক্তি। তারা এদের নাম দিলেন ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি। বিশ্বব্যাপী শুরু হলাে তীব্র প্রতিযােগিতা। মাটির নীচ থেকে মহাকাশ, বিজ্ঞানীরা অবিরাম গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এই অদৃশ্য উপাদানগুলাের খোঁজে। কিন্তু, তা হলে কী হবে, এখনও পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি খুব সামান্যই। মহাবিশ্বের অজানা ৯৫ ভাগ : ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি বইটিতে লেখক আমাদের নিয়ে গেছেন বিজ্ঞানের জগতে এক অদ্ভুত ভ্রমণে, যেখানে আমরা জানতে পারি কীভাবে বিজ্ঞানীরা এই অদ্ভুত বস্তু ও শক্তির সন্ধান পেলেন, কীভাবে এদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হলেন এবং জানলেন এগুলাে আসলে কী ধরনের বস্তু বা শক্তি, অথবা এগুলাে কী নয়!
হাসান তারেক চৌধুরী (জন্ম ২৩ মে ১৯৭০), একাধারে দুইটি ভিন্ন ঘরানায় তার সফল পদচারণা- বিজ্ঞান ও প্যারাসাইকোলজি ফিকশন। ২০১৮ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত প্রথম বই প্যারাসাইকোলজি গল্প-সংকলন ‘দ্বিখণ্ডিত’ ভাষাচিত্রের সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান করে নেয়। ২০২০ সালে প্রকাশিত হয় বিজ্ঞানবিষয়ক জনপ্রিয় বই ‘সময় : বিজ্ঞান ও অনুভবে’। বিজ্ঞানের জটিল সমস্যাগুলোকে তিনি তার বইতে ভিন্ন আঙ্গিকে গল্পে গল্পে সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন করেছেন। একাধিক মুদ্রণের পর সম্প্রতি বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় বিজ্ঞানবিষয়ক বই ‘ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি’। এটিও দ্রুত পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। দেশের পাশাপাশি বইগুলো দেশের বাইরেও বাংলাভাষী পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ‘সময় : বিজ্ঞান ও অনুভবে’ কলকাতা থেকেও প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞান বইয়ের পথ ধরে তার প্যারাসাইকোলজি ও অতিপ্রাকৃত উপন্যাসগুলোও সমানভাবে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার রচিত উপন্যাসগুলো হলো : যুগল মানব (২০১৯), প্রত্যাবর্তন (২০২১) এবং সমান্তরাল (২০২২)। একটি তারা ও হাজার চাঁদের রাত (২০১৯) তার প্রকাশিত একমাত্র কবিতার বই। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বর্তমানে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত রয়েছেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি একজন শখের ফটোগ্রাফার ও ভ্রমণপ্রিয় ব্যক্তি।