একে অপরের চোখাচোখি, ইশারায় আবেগ বিনিময়, মিষ্টি কথার ফুলঝুরি, প্রতিশ্রুতি, পাশাপাশি, হাতে হাতে রাখার অনুমতি, এভাবেই শুরু হয় ভালোলাগা ও ভালোবাসা। আদিযুগ থেকে অদ্য পর্যন্ত ভালোবাসা শব্দটি প্রাচীন ও পবিত্র। ভালোবাসা আছে বলেই মানুষ আজো বেঁচে থাকার আনন্দ পায়, যুগযুগ ধরে বেঁচে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে। অন্তরে লালন করে, যতদিন পৃথিবীতে থাকব, ভালোবাসাকে নিয়েই বেঁচে থাকব, কোনোক্রমেই ভালোবাসার পরিসমাপ্তি ঘটতে দেওয়া যাবে না। হেনার সাথে এনাম ওয়াদাবদ্ধ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত হেনার পাশই থাকবে। মিষ্টি ভালোবাসায় দুজনের ভালোই সময়গুলো অতিবাহিত হচ্ছিলো। হঠাৎ হেনার বাবা ইতালি থেকে এসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান সিটিজেন ইঞ্জিনিয়ার ছেলের সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে হেনাকে জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দেন। এনাম পাগল প্রায় দিশেহার হয়ে ছন্দহারা জীবন যাপন করতে শুরু করে। হেনাও কুল কিনারাহীন নদীর মাঝির মতো কূল খুঁজতে মরিয়া। একদিকে তার কঠিন পিতার আদেশ অন্যদিকে এনামের ভালেবাসায় পাগলপ্রায়। দু’সপ্তাহ পরই ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাংলাদেশে ফিরে আসবে, আসলেই আর কোনো উপায়ন্তর থাকবে না। ঐদিকে এনামের বাবা মা ছেলের জন্য আইরিনকে পছন্দ করে দিন তারিখ ঠিক করে বিয়ের কেনাকাটাও সম্পন্ন করে ফেলেছেন। অর্থির সহযোগিতায় হেনা এনামকে কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে তাদের মালা বদল করে ফেলে। যার ফলশ্রুতিতে দুজনের অন্তরে ভালোবাসার নিভু প্রদপিটা আবারও জ্বলে ওঠে। নতুন স্বপ্ন, নতুন দিনের আকাঙ্খা, অন্তরে বুনে কীভাবে উভয় পরিবারকে জানাবে অর্থিসহ তার তা জল্পনা কল্পনা করতে থাকে। পূর্ব পরিচিতা আইরিন কোনোভাবেই তার ভালোবাসার মানুষকে ছাড় দিতে নারাজ। অফিসের বস অপরদিকে আইরিনের ভাই সবধরণের সহযোগিতা করে এনামকে্ ঋনী করে ফেলেছেন। কী করবে এনাম, একদিকে হেনার সাথে কাগজে কলমে আবদ্ধ, বাকি শুরু ঘরে তুলে আনা। অপরদিকে নিজের চাকরি বাঁচানো ও বাবা মার পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করা। উভয় সংকটাপন্ন হেনা ও এনাম কী তাহেলে ভালোবাসার কাছে হার মানবে? একে অপরকে দেওয়া ওয়াদা কী তাহলে নিঃশেষ হয়ে যাবে? পরিবারের শাক্তির কাছে কী তাদের ভালোবাসার সলিল সমাধি ঘটবে?
ড. আ. ন. ম এহছানুল মালিকী। জন্ম : ঢাকার মুগদাপাড়া। পৈতৃক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থাকায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশ বেতারে সংবাদ উপস্থাপনার পাশাপাশি তিনি ‘বাংলাদেশ প্রতিবেদনের’ একজন সিনিয়র সাংবাদিক। এছাড়াও তিনি দৈনিক পত্রিকা ও মাসিক পত্রিকায় লেখালেখিতে রয়েছেন। তার সর্বপ্রথম ২০২০ সালে একুশের বইমেলাতে ‘মুক্তিরপথের অগ্রদূত : নেতাজি সুভাষ (সম্পাদিত), ২০২১ সালে উপন্যাস ‘ভালোবাসার পাঞ্চক্লিপ, ২০২১ সালে ‘বাবাবৃক্ষ’ (সম্পাদিত), ২০২১ সালে ‘সম্পর্কের বৃত্ত’ (সম্পাদিত), ২০২১ সালে ‘হেরার জ্যোতি’ (সম্পাদিত), ২০২১ সালে নীতিতে আপোষহীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব (সম্পাদিত) প্রকাশিত হয়। তিনি ২০২১ সালে নবকন্ঠ প্রকাশনী হতে সেরা লেখক ও ২০২২ সালে উপন্যাস ‘ভালোবাসার পাঞ্চক্লিপ’-এর জন্য বাংলাদেশ তারুণ্য সাহিত্য একডেমি হতে সেরা কবি-লেখক সম্মাননা পান। [email protected]