ভাত বাঙালির প্রাণ। ধনী দরিদ্র সকল বাঙালি এক মুঠো গরম ভাতের জন্য দিন রাত লড়াই করে। সেই লড়াইয়ের দুটি চরিত্র বিউটি আর সিয়াম। বিউটি মা। সিয়াম সন্তান বিউটির। রিকশাঅলা স্বামীর হাত মার খেয়ে, তালাক উপহার পেয়ে ছোট সিয়ামের হাত ধরে রাস্তায় নামে বিউটি। কিন্ত এক্সিডেন্ট করে চলে আসে হাসপাতালে। হাসপাতালে আর যাই হোক- মা ও ছেলে মিলে দু’বেলা হাসপাতালের দেয়া গরম ভাত খেতে পায়। কিন্ত বিউটি সুস্থ হয়ে গেলে, হাসপাতাল থেকে বাইরে চলে আসতে বাধ্য হলো। কিন্ত কোথায় যাবে বিউটি ও সিয়াম? রাস্তার পাশের ময়লা পানি খাইয়ে দেয় সিয়ামকে, বিউটি। পরিকল্পনা মনে মনে, পেট খারাপ হলে আবার হাসপাতালে ভর্তি হবে। হাসপাতালে ভর্তি হলে গরম ভাত খেতে পারবে। সিয়াম অসুস্থ হয় সত্যি। হাসপাতালেও যায় কিন্ত সিয়াম মারা যায়। মা বিউটি বিষাদ বেদনায় মুষড়ে পরে আর বলে, তুই না বলেছিলি এখানে আমরা গরম ভাত খেতে পারবো! বিষাদ জীবনের আরও বিষাদিত গল্প লিখেছেন এহছানুল মালিকী। দশটি গল্প নিয়ে অনন্য গল্প আখ্যানে পূর্ণ গল্পের বই গরম ভাত। এহছানুল মালিকীর প্রতিটি গল্প জীবনের গভীর বোধ, বেদনার নিক্তি, সংসারের নিরন্তর ঘটনাবলীর কংকাল থেকে উঠে আসে। ফলে, পাঠকেরা যখন গল্প পড়েন মালিকীর, মনে হয়- সজীব গল্পটা আমার, আমাদের। ‘গরম ভাত’ গল্পবইয়ের প্রতিটি গল্প পাঠকদের মনে গভীর মমতার ছাপ রাখবে। মনি হায়দার কথাসাহিত্যিক বাংলা একাডেমি
ড. আ. ন. ম এহছানুল মালিকী। জন্ম : ঢাকার মুগদাপাড়া। পৈতৃক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থাকায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশ বেতারে সংবাদ উপস্থাপনার পাশাপাশি তিনি ‘বাংলাদেশ প্রতিবেদনের’ একজন সিনিয়র সাংবাদিক। এছাড়াও তিনি দৈনিক পত্রিকা ও মাসিক পত্রিকায় লেখালেখিতে রয়েছেন। তার সর্বপ্রথম ২০২০ সালে একুশের বইমেলাতে ‘মুক্তিরপথের অগ্রদূত : নেতাজি সুভাষ (সম্পাদিত), ২০২১ সালে উপন্যাস ‘ভালোবাসার পাঞ্চক্লিপ, ২০২১ সালে ‘বাবাবৃক্ষ’ (সম্পাদিত), ২০২১ সালে ‘সম্পর্কের বৃত্ত’ (সম্পাদিত), ২০২১ সালে ‘হেরার জ্যোতি’ (সম্পাদিত), ২০২১ সালে নীতিতে আপোষহীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব (সম্পাদিত) প্রকাশিত হয়। তিনি ২০২১ সালে নবকন্ঠ প্রকাশনী হতে সেরা লেখক ও ২০২২ সালে উপন্যাস ‘ভালোবাসার পাঞ্চক্লিপ’-এর জন্য বাংলাদেশ তারুণ্য সাহিত্য একডেমি হতে সেরা কবি-লেখক সম্মাননা পান। [email protected]