যন্ত্র দিয়েছে গতি। সেই যান্ত্রিক গতিতে ছুটে চলা, শুধুই ছুটে চলা।অসীম এ পথ। যে পথে জীবন জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বী। নাই নাই খাই খাই আওয়াজ চারিদিকে ঘুরেফিরে প্রতিটি কর্ণকুহরে সর্বক্ষণ বলে যায় 'দৌড়'। সেই মোহমন্ত্রে সবাই ছুটে চলেছে, ভুলছে আপন শেকড়। আত্মভোলার এই শহরে কালে কালে হঠাৎ করেই আবির্ভাব ঘটে সবুজ মস্তিষ্কের অধিকারী'র। যে জীবনের পতাকা হাতে দিগভ্রান্ত উন্মাদের মতো হেটে চলে পথে পথে। গেয়ে যায় ভালোবাসার গান। "দার্শনিক" তেমনি এক স্বঘোষিত উন্মাদ। গতিময় পৃথিবীর সকলেই যখন ব্যস্ত। একটু সময় নেই দাড়াবার, প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেবার। তখন দার্শনিক অফুরন্ত সময়ের বোঝা মাথায় নিয়ে হেটে চলে ঢাকা শহরের অলিতে-গলিতে। যার নেই কোনো গন্তব্য, নেই কোনো তারা। ভীষণ স্বাধীন স্বেচ্ছাচারী দার্শনিকের পায়ে শেকল পড়াতে পারেনি কেউ। না পরিবার না সমাজ। একান্ত ভালোবাসার মানুষটিও বদলে যায় তার জাদু স্পর্শে। হতে চায় বাঁধনহারা। সত্যিকার অর্থে দার্শনিক হিমু ও মিসির আলীর শুদ্ধ উত্তরসূরী। যে জাগতিক প্রাপ্তির বাহিরে গিয়ে জীবন দর্শন খুঁজে বেড়ায়। যার ঝুলিতে জমা A™¢‚Z ও অলৌকিক যত অভিজ্ঞতা আর তার যৌক্তিক সমাধান।
জন্ম ২ জুন ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দ, ফরিদপুর জেলার বিলমামুদপুর গ্রামে নানা বাড়ি। ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং সরকারি ইয়াসিন কলেজ, ফরিদপুর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যে তরুন উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসেবে তার যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। পেশায় ব্যাবসায়ী হলেও বাংলা সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ থেকেই সাহিত্য চর্চা শুরু। নিউইয়র্কে লায়ন্স ক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলা সাহিত্যের বিশ্বায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।