বই সম্পর্কিত তথ্যাবলী বৃষ্টিভেজা চাঁদনী রাতে কেউ কেউ ভাবতে পারে বৃষ্টি ও চাঁদ দুটোই সুন্দর। মানুষ বৃষ্টি ও চাঁদকে সমানভাবে ভালোবাসতে পারে। একই সঙ্গে একজন মানুষ দুজন মানুষকে কেন ভালোবাসতে পারে না? সময়, সমাজ ও বাস্তবতার আলোকে উত্তর খুঁজেছেন কবি ও কথাসাহিত্যিক নওশাদ জামিল। ব্যক্তি মানুষের জটিল টানাপোড়েন নিয়ে লিখেছেন একই সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক ও রোমান্টিক উপন্যাস। কালি ও কলম পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও কথাসাহিত্যিক নওশাদ জামিল বলেন, এ সময়ের প্রেক্ষাপটে লেখা রোমান্টিক উপন্যাস ‘প্রত্যাবর্তন’। সাধারণত রোমান্টিক উপন্যাস যেমন হয়, এ উপন্যাস তেমন নয়। এ শুধু প্রেম-ভালোবাসার গল্প নয়, সমাজ ও বাস্তবতার আলোকে মানসিক দ্বন্দ্ব ও টানাপোড়েনের উপন্যাস। সম্পর্ক, সংসার, ব্রেকআপ, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। যেখানে বাস্তবতা ও কল্পনার মাঝখানে দাঁড়িয়ে মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে। যাপিত জীবনে লড়াই করার সাহস পেতে পারে। জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার অনুপ্রেরণা পেতে পারে। নওশাদ জামিল জানান, এ উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে তিনি ভাষা, গল্প ও আঙ্গিক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। অত্যন্ত সুন্দর ও মনোলোভা ভাষায় তুলে ধরেছেন আধুনিক সমাজ ও মানুষের চিন্তাধারা, ঘাতপ্রতিঘাত, টানাপোড়েন। মেলে ধরেছেন অন্য রকম একটা জগৎ। এ জগতে পাঠক নির্মল আনন্দ পাবেন, স্বর্গীয় সুখ পাবেন। হাসবেন, কাঁদবেনও।
এ সময়ের সংবেদী ও গুরুত্বপূর্ণ কবি ও কথাসাহিত্যিক হিসেবে নওশাদ জামিলের খ্যাতি ও পরিচিতি সর্বজনবিদিত। তাঁর জন্ম ময়মনসিংহের ভালুকায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা সেখানেই। তারপর চলে আসেন ঢাকায়, ভর্তি হন ঢাকা স্টেট কলেজে। উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, সরকার ও রাজনীতি বিভাগে। সেখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। সাহিত্যর নানা শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। দীর্ঘদিন ধরে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ, প্রবন্ধ, সম্পাদনা, শিল্প-সমালোচনাসহ সাহিত্যের নানা শাখায় কাজ করেন। দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য সাময়িকী, লিটল ম্যাগাজিন, জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বহুমাত্রিক লেখাপত্র। সাহিত্যচর্চার জন্য তিনি কবি শামসুর রাহমান, কবি আল মাহমুদ, কবি শঙ্খ ঘোষ, নাট্যকার সেলিম আল দীন, কবি মোহাম্মদ রফিক, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনসহ দেশ-বিদেশের অনেক বরেণ্য কবি-সাহিত্যিকের প্রশংসা ও সান্নিধ্য পান। সাহিত্যের জন্য পান অসংখ্য পাঠকের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। সৃজনশীল লেখালেখি ধ্যানজ্ঞান হলেও তাঁর পেশা সাংবাদিকতা। দেশে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। সাহিত্য ও সাংবাদিকতার জন্য তিনি পান বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা। কবিতার জন্য পান কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার, ভারতের কলকাতা থেকে আদম সম্মাননা পুরস্কার। ভ্রমণসাহিত্যে পান বিশাল বাংলা সাহিত্য পুরস্কার। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পান ইউনেস্কো-বাংলাদেশ জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্মৃতি পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা।