প্রথম দিন আমাদের দেশ ভারতবর্ষ 1757 সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদদৌল্লার পরাজয়ের পর ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়। ভারতবর্ষ পরিণত হয় ব্রিটিশ উপনিবেশে। প্রায় 200 বছর পরাধীনতার পর ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় 1947 সালের 15th August, তৈরি হয় স্বাধীন ভারতের সংবিধান। কিন্তু সবকিছুর মতো সেই সংবিধানেরও একটি ইতিহাস রয়েছে। পরাধীন ভারতবর্ষে বহু ব্রিটিশ সরকার প্রণীত আইন সেই সংবিধানের অন্তভুক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংবিধান থেকে ভালো বৈশিষ্ট্যগুলো আহরণ করা হয়েছে। The Indian Polity পড়তে শুরু করার প্রথমে সেই সংবিধানের বিবর্তন বা ক্রমবিকাশ আমাদের জানতে হবে। → ভারতীয় সংবিধানের ক্রমবিকাশ (Evolution of Indian constitution) প্রাচীন ইতিহাসে উল্লিখিত ঋষি মনুর রচিত মনুস্মৃতি বা কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ছিল তৎকালীন রাজতন্ত্রের আকরগ্রন্থ। কিন্তু আধুনিক সংবিধানের মূল শিকড় রয়েছে ব্রিটিশ আমলেই । ব্রিটিশ East India Company রানী এলিজাবেথ I -এর থেকে ভারতে বাণিজ্য করার একচেটিয়া সনদ নিয়ে ভারতে আসে 1600 সালে। এরপর কালের পাকচক্রে বণিকের সেই মানদণ্ডই হয়ে ওঠে রাজদণ্ড। রানী এলিজাবেথ • 1600 সালে East India Company ভারতে আসে । • 1757 সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলা, বিহার, ওড়িশার নবাব সিরাজউদদৌল্লা পরাজিত হন ।
এই ২৭ বছর বয়সেই তিনি বর্তমান বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক। এর মধ্যেই পুরস্কৃত হয়েছেন বাংলাদেশ, রাজ্য সরকারের তরফে। পেয়েছেন ‘বুক ফার্ম সেরা সাহিত্য সম্মান ২০১৮, Literary Star of Bengal Award, ২০১৮। দেবারতি মুখোপাধ্যায় আদতে ডানকুনির মেয়ে। সরকারী কলেজ থেকে পাশ করেন ইঞ্জিনিয়ারিং, তারপর ফিন্যান্সে MBA। প্রথমে কিছুদিন আমেরিকান আইটি কোম্পানিতে চাকরি করেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। তারপর একে একে পেয়েছেন দশের কাছাকাছি সরকারী চাকরি। চারবছর রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ছিলেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকারে জয়েন করেছেন WBCS Officer হিসেবে। ২০১৬ সালের শেষদিকে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘ঈশ্বর যখন বন্দী’। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা বাংলা সাহিত্যে সৃষ্টি করে আলোড়ন। একবছরের মাথায় শেষ হয় চারটি মুদ্রণ। রাজ্য সরকারের তরফে মালদা জেলাপরিষদ তাঁর ‘বাবা’ গল্পটিকে ‘বছরের সেরা ছোটগল্প ২০১৬’ সম্মাননায় ভূষিত করে। এরপর প্রকাশিত হয় একে একে উপন্যাস ‘নরক সংকেত’, গল্প সংকলন ‘ঝিঁঝিঁ পোকার মালা’, গল্প সংকলন ’১৫ ফোঁটা বৃষ্টিতে।’ প্রতিটিই সাদরে গৃহীত হয় পাঠকমহলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈজ্ঞানিক থ্রিলার উপন্যাস ‘নরক সংকেত’ প্রকাশের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় ৫০০০ কপি নিঃশেষিত হয়ে জিতে নেয় ‘২০১৭ এর সর্বাধিক বিক্রিত থ্রিলার’ এর তকমা। একে একে প্রকাশিত হয় ‘থ্রি’, ‘প্রহেলিকা’র মত আরো কিছু সংকলন। দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের লেখার বৈশিষ্ট্য হল অভিনব প্লটের সঙ্গে পড়াশুনোসমৃদ্ধ টানটান লেখনী, যা নজর কেড়েছে বাংলা সাহিত্যমহলের, সমালোচকবৃন্দের। বাংলা বাজারের এই মন্দার সময়েও তাঁর পাঠকসংখ্যা রীতিমত ঈর্ষণীয়। অতিনব্য যুগের যে তরুণী সারাদিন মগ্ন মোবাইলে, তিনিই বইমেলায় ছোটেন দেবারতির বই কিনতে। এমনই ঝকঝকে মুগ্ধতা তাঁর লেখায়। রাজ্যসরকারী গুরুত্বপূর্ণ আমলার পদ সামলে তিনি সমান্তরালে লিখে চলেছেন নবকল্লোল, শুকতারার মত পত্রিকাতেও। তাঁর আসন্ন উপন্যাস ‘অঘোরে ঘুমিয়ে শিব’ এর ট্রেলার ইতিমধ্যেই দেখেছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। ফেসবুকে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা লক্ষ ছুঁইছুঁই। সেখানেও তিনি নিয়মিত লেখেন তথ্যসমৃদ্ধ থ্রিলার, অদ্ভুত সমস্ত সিরিজ। তাঁর ছোটগল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে চলচ্চিত্রও।