বিয়ে পড়ানোর সময় গ-গোলটা শুরু হলো। মেয়ে কিছুতেই কবুল বলছে না। কাজি যখন মেয়ের কাছ থেকে কবুল আদায় করতে গেছেন, মেয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলল, আমি এই বিয়েতে রাজি না। শাহীনের শুভ বিবাহ অনুষ্ঠানে এসেছি। শুভ বিবাহ তো দূরের কথা বিবাহ’ই হচ্ছে না। গণ্ডগোলের খবর শুনে যেখানে মেয়ের সম্মতি নেয়া হচ্ছে সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখলাম মেয়ের বাবা মেয়ের পিঠে দমাদম কিল ঘুসি মারছেন। আর বলছেন- কবুল বলবি কি না বল? মেয়ে বলল- মরে গেলেও না। মেয়ের বাবা মেয়েকে মারতে মারতে বললেন- আমার মান-সম্মান ডুবাবি আর আমি চুপচাপ বসে থাকব? আর বসে বসে আঙুল চুষব? আশেপাশে থাকা দুজন লোক মেয়ের বাবাকে ধরে ফেললেন। একজন বললেন- মেয়ে বড় হয়েছে না। এভাবে গায়ে হাত তোলা ঠিক না। আমরা বুঝিয়ে বলছি। - বুঝিয়ে বললে এই শয়তান বুঝবে? কথা শুনলে তো আমাকে এত অপমান সইতে হতো না। মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল- আমি আগেই বলেছি আমি এ বিয়েতে রাজি না। তবু আমাকে জোর করে বিয়ে দেবেন? - তোর কথা শুনে আমাকে চলতে হবে নাকি আমার কথা শুনে তুই চলবি? - সারা জীবন তো আপনার কথা শুনে এসেছি। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আমি মানতে পারছি না। আমার জীবনের এত বড় ঘটনায় আমার মতামতের কোনো দাম থাকবে না? - তুই যদি এ বিয়েতে রাজি না হোস তাহলে তোর মাকে তালাক দেব। কাজিও আছে মাওলানাও আছে। তালাক দিয়ে তোর মাকে ঘর থেকে বের করে দেব, সঙ্গে তোকেও বের করে দেব। মেয়ে এই কথা শুনে চমকে উঠল। মেয়ের বাবা বললেন- আমি যা বলি তা করি। তোকে পাঁচ মিনিট সময় দিলাম। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত জানা। কেন জানি আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। একটা মেয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছে না তাকে এভাবে চাপে ফেলে জোর জবরদস্তি করে বিয়ে দেওয়া মেনে নিতে পারছি না।