কিশোরগঞ্জ জেলা ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। কিশোরগঞ্জ জেলাকে বলা হয়- “উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা”। কিশোরগঞ্জ ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। হাওর অঞ্চলের জন্য কিশোরগঞ্জ বিখ্যাত। তেরোটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ জেলায় যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, তেমনি রয়েছে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিভিন্নতা। দেশের অন্যান্য অনেক জেলার মতো কিশোরগঞ্জের সংস্কৃতিতেও রয়েছে একান্ত নিজস্বতা ও চমকপ্রদ ভিন্নতা। এ জেলার লোকজ সংস্কৃতি ও আধুনিক সংস্কৃতি এতই সমৃদ্ধ যে, এর সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে গেলে একটি বৃহৎ বইয়ের প্রয়োজন পড়বে। আবহমান সংস্কৃতির চিরায়ত ধারাটি এ বইটিতে স্বল্প পরিসরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখক জাহাঙ্গীর আলম জাহান। বইটিতে লেখক জাহাঙ্গীর আলম জাহান বলেন- ‘বিনয়ের সাথে স্বীকার্য যে, কিশোরগঞ্জের সংস্কৃতি-কথা’ কোনোভাবেই এ জেলার পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক ইতিহাস নয়। এখনও অনেক তথ্য অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে। অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অনেক শিল্পী ও কলাকুশলীর নাম, এমনকি অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামও হয়তো এ বইয়ে আসেনি। বইটির মাধ্যমে আগামীদিনে পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক ইতিহাস রচনার প্রাথমিক ভিত্তি রচিত হলো মাত্র।’ সূচিপত্রহীন বইটিতে ধারাবাহিকভাবে কিশোরগঞ্জের কথা, সংস্কৃতি বনাম লোকসংস্কৃতি, লোকসংস্কৃতির পথ ধরেই আধুনিক সংস্কৃতির বিকাশ, কিশোরগঞ্জের লোকগানে ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত, কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক গান, কিশোরগঞ্জের পুঁথি, সাঙ্গীতিক ব্যঞ্জনায় ভাট কবিতা, সাংস্কৃতিচর্চার স্থানিক বৈশিষ্ট্য, কিশোরগঞ্জে সঙ্গীতচর্চা, কিশোরগঞ্জের নাট্য ও সাংস্কৃতি সংগঠনসহ নানা বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে এ বইটিতে। অনেক বিরল ও মূল্যবান ছবি সংযুক্ত আছে এ বইটিতে। বিভিন্ন গবেষণা ও ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এ বইটি যে কারো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে নিঃসন্দেহে।