বই সম্পর্কে— কিছু প্রতিশ্রুতি ও সুসংবাদ নিয়ে আলোচনার প্রয়াস যা কোনো মানুষের প্রতিশ্রুতি নয়, বরং সেই সত্তার প্রতিশ্রুতি, যিনি কখনো তা ভঙ্গ করেন না এবং স্বীয় বান্দাদের নিরাশ করেন না। তবে আজ তারা সেসব প্রতিশ্রুতি কেন বিস্মৃতির গহ্বরে নিক্ষেপ করেছে! অথচ কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও নবিজির হাদিস এসব প্রতিশ্রুতিতে ভরপুর। এটা কি কুরআন-সুন্নাহ বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে নাকি প্রতিশ্রুতির শর্তসমূহ পূরণে আলস্যের কারণে? প্রতিশ্রুতি বিষয়ে সন্দেহ নাকি যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁকে নিয়ে কোনো সংশয়? নাকি পথের দীর্ঘতা তাদের হাঁপিয়ে তুলেছে বা শত্রুদের উপর্যুপরি আক্রমণ তাদের ক্লান্ত করে দিয়েছে? অথবা অত্যাচারীদের প্রভাব-প্রতিপত্তি তাদের সন্ত্রস্ত করে দিয়েছে? কিংবা শত্রুদের সংখ্যাধিক্য ও উলামায়ে কিরামের কৌশলগত ত্রুটি তাদের অকৃতার্থ করে দিয়েছে? যদি এগুলো কিছুই না হয়, তাহলে কেন এই নীরবতা! সামনে অগ্রসর হও, আঘাত করো শক্ত পদে ধূসর ভূমিতে, আকাশসম সাহস নিয়ে হতাশার উপত্যকা থেকে ফিরে এসো। তোমার আশাগুলো শুধু তোমার রবের সাথে সংযুক্ত করো তাঁর উপত্যকার শীতল পানিতে গোসল ও পান করার জন্য। এটি আম্বিয়ায়ে কিরামের পথ। এ পথে রয়েছে উত্তম সাথিদের পদচিহ্ন। তাই এ পথ আগলে ধরো। কারণ, এটি নাজাতের চাবিকাঠি। তোমার অন্তরকে তা দ্বারা সিঞ্চিত করো। এটি জীবনের অমৃত সুধা। এ দুনিয়ায় তোমাকে স্বাগত।
ড. খালিদ আবু শাদি খালিদ আবু শাদি মিসরের একজন প্রতিভাবান দায়ি ইলাল্লাহ। ১৯৭৩ সালের ১৮ মার্চ গারবিয়াহ প্রদেশের জিফতা নগরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন কুয়েতে। তারপর মিসরের কায়রো ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি ফ্যাকাল্টি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। শৈশব থেকেই তিনি প্রখর মেধা ও অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কর্মজীবনের একটি বড় সময় তিনি দাওয়াহর কাজে ব্যয় করেন। লেখালেখিকেই তিনি দাওয়াহর মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। তাঁর স্বতন্ত্র রচনাশৈলী আর হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনা সহজেই পাঠকদের নজর কাড়ে। মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার অদ্ভুত এক শক্তি আছে তাঁর কলমে। দাওয়াহ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় একে একে তিনি উম্মাহকে উপহার দেন ১৪টিরও বেশি মূল্যবান গ্রন্থ। ‘ইয়ানাবিউর রাজা’, ‘মাআন নাসনাউল ফাজরাল কাদিম’, ‘সাফাকাতুন রাবিহা’, ‘লাইলি বাইনাল জান্নাতি ওয়ান নার’, ‘বি-আইয়ি কালবিন নালকাহ’ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অসংখ্য মূল্যবান প্রবন্ধ। কখনো বক্তৃতাকেও তিনি দাওয়াহর মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাঁর হৃদয়-নিংড়ানো আহ্বান অসংখ্য পথহারা তরুণকে দ্বীনের পথে উঠে আসার প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা প্রতিভাবান এই দায়ি ইলাল্লাহর দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করি।