শিক্ষক পিতার সম্মান, পিতৃকুল-মাতৃকুলের মর্যাদার প্রতি যথোপযুক্ত ভক্তি রেখে এক নারীর মনের চাওয়াকে প্রতিষ্ঠিত করার নিরন্তর প্রচেষ্টার সফল বহিঃপ্রকাশ ‘শেষ অধ্যায়’। আবেগের বশবর্তী নয় বরং চরম বাস্তবতার মধ্য দিয়ে জীবনকে অনুভব করা এবং সমান্তরাল বৈষয়িক রেখাগুলোকে একবিন্দুতে মিলানোর প্রবল ইচ্ছা শক্তির প্রকাশ ঘটেছে এখানে। কনজার্ভেটিভ ঘরোয়ানায় বেড়ে ওঠা নারী মনের বিবর্তন, তথাকথিত বংশের বড়াই, চিরায়ত গ্রাম বাংলার মৌলিক বিষয়াদি, যুবক-যুবতীর একে অপরের প্রতি আকর্ষণবোধ ও মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে ঘিরে জটিলতা ও সংস্কারগ্রস্ত সরল জীবন কাহিনি। মেয়েরা একবার যাকে মন দেয় তাকে ছাড়া ভিন্ন কিছুতেই যেন সুখ নাই। ডেস্পারেট মানুষকে থামানো যায় না। নিজ নিজ অবস্থানকে অটুট রাখার প্রবল প্রচেষ্টা। এক নারী যে কিনা একজন মা তার জঠোরে ধরা, তিলে তিলে বেড়ে ওঠা, অস্তিত্বে মিশে থাকা গর্ভজাত সন্তানকে আঘাত করে অস্থির চিত্ত শান্ত করার প্রবোধ গুনছে। অপর এক নারী যে কিনা সন্তান হিসেবে নিজ দেহে আঘাত করার সুযোগ করে দিয়ে মায়ের অস্থির মনের স্থিরতা কামনা করছে। মা-মেয়ের শক্ত অবস্থানের শেষ কোথায়? প্রেমিকের প্রতি অঙ্গিকার রক্ষা করা, পিতা-মাতার অনুগত থাকা, শিক্ষক পিতার মান-সম্মান অক্ষুন্ন রাখা, বংশের মর্যাদা রক্ষা করা... এসবের মধ্যে কোন্ টি প্রণিধানযোগ্য? নাকি যেতে চায় মন সেখানে যেখানে সে সুখ খুঁজে পায়!