এ পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষ কোনো না কোনো দিক দিয়ে অসম্ভব সম্ভাবনাময়। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে কেউ প্রস্ফুটিত হতে পারে কেউ পারে না। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত নিজে প্রস্ফুটিত হতে না পারলেও মানুষ হিসেবে ভেবে তার উপর বিষয়টা ছেড়ে দিই এবং প্রতিটা বিষয় পজিটিভলি নিতে পারি। তবেই পরিবার সমাজ তথা দেশ সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী হবে। আমরা মানুষকে তার আভিজাত্য, পেশা, উঁচু-নিচু দিয়ে বিবেচনা করব না। আভিজাত্যের দেয়ালে চাপা পড়ে কত মানুষ নীরবে নিভৃতে গুমড়ে কেঁদে নিজের জীবন বলিদান দেয় তা বলা মুশকিল। রোদসী অসম্ভব মেধাবী ও প্রাণচঞ্চল একটি মেয়ে। পারিবারিক আভিজাত্যের বন্ধনে বন্দি হয়ে নিজের ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়ে নিজেকে তিলেতিলে শেষ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। রোদসীর মা একজন শিক্ষিত মহিলা হওয়া সত্ত্বেও মেয়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে আভিজাত্যের যাতাকলে পিষ্ট করে মেরে ফেলে। রোদসীর মতো একজন সম্ভাবনাময় মেয়েকে সমাজ মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারেনি। আর এ করুণ পরিণতি শুধু তার মায়ের জন্য। মা যদি তাকে তার চলার পথে এ দিক দিয়ে কিছুটা হলেও সাহায্য করত তাহলে রোদসী ও মাধুর্যের হয়তো এতটা করুণ পরিণতি হতো না। তারা পরিবার, সমাজ তথা দেশের জন্য কাজ করে যেতে পারত।
কিশোরগঞ্জ জেলাধীন কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন 'মাশহুদা খানম'। পিতা- মো. মজিবুর রহমান মাসুদ রানা, মাতা- মমতাজ মহল। তিনি মাস্টার্স পাস করে শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নেন। এক মেয়ে, এক ছেলে ও শিক্ষক স্বামীকে নিয়ে অবসর সময় কাটে লেখালেখি ও বই পড়া নিয়ে। জাগো নন্দিনী মাশহুদা খানমের প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। রোদসী তাঁর প্রথম উপন্যাস