মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই মূলত পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠি পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগনের উপর নানাভাবে অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ, নিপীড়ন ও বঞ্চনা করে আসছিল। যার ফলশ্রুতিতে পূর্ব পাকিস্তানের আপামর জনসাধারণ অতিষ্ট হয়ে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে¦ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রায় ত্রিশ লক্ষ নর-নারী শহীদ হন এবং প্রায় দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানি হয়। মূলত “কাননের পরিদাদু” একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। এই উপন্যাসের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারা এক রমনীর আংশিক বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশে পরী দাদুর মতো নাম না জানা শতশত মা বোন তাদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের দেশকে স্বাধীন করেন। শুধু স্বাধীন করেই ক্ষ্যান্ত নয় পরীদাদুর মতো আত্মপ্রত্যয়ী রমনীরা। দেশ স্বাধীনের পর নিজের কষ্ট যন্ত্রনাকে বুকের গহীণে চাপা দিয়ে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে নাতনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের সেবা দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে নিরবে নীভৃতে কাজ করে চলেছেন পরিদাদু। পরিদাদুর মতো এমন অনেকেই আছেন যাদের আমরা চিনি না জানি না। তাদের না আছে কোন খেতাব, না আছে কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। নিজের কষ্ট, যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে বেড়াতে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্ব হারানো পরিদাদুর মতো অনেকেই। এই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার আংশিক চেষ্টা করা হয়েছে এ উপন্যাসের মাধ্যমে।
কিশোরগঞ্জ জেলাধীন কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন 'মাশহুদা খানম'। পিতা- মো. মজিবুর রহমান মাসুদ রানা, মাতা- মমতাজ মহল। তিনি মাস্টার্স পাস করে শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নেন। এক মেয়ে, এক ছেলে ও শিক্ষক স্বামীকে নিয়ে অবসর সময় কাটে লেখালেখি ও বই পড়া নিয়ে। জাগো নন্দিনী মাশহুদা খানমের প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। রোদসী তাঁর প্রথম উপন্যাস