সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতার সংগ্রামে বাংলাদেশ ও অন্যান্য ' বইটিতে লেখকের ২০ টি নিবন্ধ সন্নিবেশিত হয়েছে । নিবন্ধগুলো বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘটে যাওয়া সমসাময়িক উল্লেখযোগ্য বিষয়ে নাতিদীর্ঘ বিশ্লেষণের মাধ্যমে লেখকের মননশীলতা তুলে ধরেছে । তাঁর রচনা শৈলীতে পাঠকমাত্রকেই আলোকিত ও ঋদ্ধ করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় । বইটি প্রকাশ করতে পেরে সুবর্ণ আনন্দিত ও গর্বিত । তিনি বাংলা ও ইংরেজী দুই ভাষাতেই লিখে আসছেন । বাংলা ভাষায় লেখা তার বই এর সংখ্যা বিশেরও বেশী । ২০০৩ সালে তার লেখা ‘ জেলের কথা মানুষের কথা ’ , আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল । ২০০৯ সালে তার ' জেল বাসের স্মৃতি , ' Notes From a Prison - Bangladesh ' বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে যুগপৎভাবে প্রকাশিত হয়েছে । আর্থ সামাজিক বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখে তিনি সুধী সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছেন । তার লেখায় তিনি সব সময় মুক্ত সংস্কৃতির কথা বলেছেন , তার অদমিত চর্চা করেছেন । তার মতে মুক্ত সংস্কৃতি ইঙ্গিত সভ্যতার সূচক ও বাহক । তার পাঠকদের অনেকেই মনে করেন যে তার এই সংকলনের প্রবন্ধগুলো দেশ ও সমাজে মুক্ত সংস্কৃতির প্রয়োজন ফুটিয়ে তুলবে ।
Title
সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতার সংগ্রামে বাংলাদেশ ও অন্যান্য
মহীউদ্দীন খান আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করার পর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তারপর সরকারের সিভিল সার্ভিসে যােগ দিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক অর্থনীতি ও উন্নয়ন অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে পরে ১৯৮০ তে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ভারতের সাথে বাংলাদেশের গঙ্গা নদীর পানি বিভাজন সম্পর্কিত চুক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে সম্পাদন করেন। একই বছর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক শান্তি চুক্তি প্রণয়ন ও সম্পাদনে তিনি তাৎপর্যমূলক ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৭-২০০১ সময়ে তিনি বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীপরিষদে অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি গ্রেফতার হন। এর আগে খালেদা জিয়ার সরকারও তাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০০৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সমূহের আঞ্চলিক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি তিনি। সর্বশেষ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্থনীতি সম্পর্কিত বিষয়ে লিখিত ২০টি এরও অধিক বইয়ের লেখক তিনি।