বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নিজের সঙ্কটের সম্পর্ক থেকে মুক্ত হতে যাকে ভালবাসলো, সে ছিল- স্মার্ট জিনিয়াস এবং মিলিনিয়ার রুচি আমান। বিবাহিত মায়ার পক্ষে কতখানি সহজ ছিল দ্বৈত জীবন? তারও ঘরে এক মিথ্যেবাদী স্বামী যে তাকে ধোকা মেরে বিয়ে করে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে- অনুতপ্ত। ডাক্তার নয়, নিছক ট্যাক্সিচালক! ঘটনাচক্রে রুচি আমান একদিন তাকে ঘরে নিয়ে এল, তার অসম্ভব সুন্দরী কিন্তু পঙ্গু স্ত্রী ফাল্গুনী তাকে কি চোখে দেখলো? আর তার ব্যক্তিগত পরিচারিকা মনোয়ারার সঙ্গে ফাল্গুনীর কী গোপন যোগাযোগ? বিশাল লংআইল্যান্ডের বাড়ির বিস্তৃত সীমানায় তারা একসঙ্গে হরিণ খাওয়ায়। একসঙ্গে বসে ডিনার খেতে খেতে অতীতের কথা বলে। আবার মায়াকে ঘিরে সম্পর্কের ধুম্রজাল। এক বিচিত্র সম্পর্ক! কথায় কথায় হাত বন্দুক ফুটিয়ে মেটায় অন্তর্জালা। তার ভালবাসার স্বামী অন্য মেয়েকে ভালবাসে। এক অস্বাভাবিক সম্পর্কের মাঝে মায়াকে বিয়ের জন্যে একদিন ঘরে তুলে আনলো রুচি। এরপর থেকে শুরু হলো দুই ঘরের মধ্যখানে তুলে দেয়া দেয়ালে হাত রেখে নিশিদিন সতীনের শব্দ শোনার বাতিক! ক্রমাগত অস্বাভাবিক ব্যবহার আর রাজীবের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতে একটি হত্যার পরিকল্পনায় দুটি বিভ্রান্ত মানুষ। এদিকে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে, স্ত্রীকে এক নজর দেখতে এলে মায়ার এক্স-স্বামীর সামনেই হঠাৎ খুন হলো রুচি আমান। কে করলো এই খুন? একি মায়ার বিভ্রান্ত এবং ঈর্ষাকাতর স্বামী? নাকি অন্য কেউ! প্রবাস জীবনকে কেন্দ্র করে একটি রহস্য ও হৃদয়ের উপন্যাস।
মিনা ফারাহ পেশায় ডেন্টিস্ট এবং ২৫ বছর নিউইয়র্ক প্রবাসী। ওয়াল স্ট্রিটের একজন প্রাক্তন স্টকমার্কেট ইনভেস্টর। বর্তমানে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ বলে খ্যাত জ্যাকসন হাইটস এলাকার অন্যতম সক্রিয় রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর।। সংসারের পাশাপাশি লেখালেখির শুরু ১৯৯৩ থেকে। বিভিন্ন ইস্যু এবং ক্রাইসিসে নিউইয়র্কের বাঙালি ক্যুনিটিতে এক প্রতিবাদী কণ্ঠ এবং কলম-যােদ্ধা যিনি শুধু লেখার তাগিদে পেশা। থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন ২০০২ সনের গােড়ায়। লেখার কারণে বর্তমানে অর্ধেক সময়। বাংলাদেশে থাকছেন। নিউইয়র্কেও তিনি বিভিন্ন। বিদেশী একটিভিস্ট সংস্থার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত- যার মধ্যে সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, সেকুলার হিউম্যানিস্ট গ্রুপ এবং আই ই এইচ ই অন্যতম। মিনা ফারাহ’র জন্ম: শেরপুর জেলায়। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি গ্রাজুয়েট। লেখকের অন্যান্য বইগুলাে হল: কাঠগড়ায় ঈশ্বর ২০০০, সুখ তাের বাড়ি কই ২০০২, প্রবাসের খােলা বােতাম ২০০২, মধ্য বয়সের সঙ্কট ২০০৩, নারীর দাম্পত্যজীবন ও অন্যান্য সঙ্কট ২০০৪, নারীর জীবন যৌবন বার্ধক্য ২০০৪। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাঙলা সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকা থেকে ২০০২ সনে ছােটগল্প আর প্রবন্ধের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন।