আমি প্রায় বলে থাকি, ‘লেখালেখি করতে পারলে মনে হয় বেঁচে আছি।’ এই আমাদের মানে লেখকদের বাঁচিয়ে রাখেন প্রকাশক-সম্পাদক যারা কিনা আমাদের মনের ভেতর থেকে নিঃসৃত লেখাকে পাঠকের দোরগোরায় পৌঁছে দেন। আমরা যতই পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারব, ততই আমরা সমৃদ্ধ ও কালজয়ী হব। লেখকদের কালজয়ী করার মনোব্রত নিয়েই মাঠে নেমেছেন এক অন্তঃপ্রাণ কবি, সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল হাশেম ভাই। তিনি শুধু নিজে লিখেই থেমে থাকার মানুষ নন, নতুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে প্রতিভাবান লেখকরা যেন লিখতে পারেন, বই প্রকাশ করতে পারেন, সেই চিন্তাবোধ থেকে ‘এ.এইচ প্রকাশনী’ দাঁড় করিয়েছেন যা ইতোমধ্যে সুনামের সাথে লেখকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সেবার ছোট্ট একটা উদাহরণ হতে যাচ্ছে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত কাব্যসংকলন ‘প্রাণে বাংলাদেশ’। কবি, প্রকাশক, সম্পাদকসহ বহুগুণে গুণান্বিত আবুল হাশেম ভাই যখনই ‘প্রাণে বাংলাদেশ’ নামটির ব্যাপারে আমাকে জানালেন, আমি অভিভৃত হলাম তার স্বার্থক নামকরণ দেখে, সেইসাথে চমৎকার প্রচ্ছদ দেখে। শুধু তাই নয়, তাঁর সম্পাদিত সংকলনটিতে যেসকল কবির কবিতা তিনি রেখেছেন, সেসবের ভেতর ফুটে উঠেছে দেশপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম, মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুষঙ্গ, প্রেম-ভালোবাসার কথা যা কিনা পাঠকমহলে দারুণ সাড়া ফেলবে, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কবিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে তাঁর সম্পাদনার সুক্ষè হাতে এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তিনি। তাঁর এই সম্মোহনী চেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই। প্রতিশ্রুতিশীল কবিদের নিয়ে এরকম আরও প্রকাশনা ‘এ.এইচ প্রকাশনী’র ব্যানারে হোক, তাই সর্বদা চাই। সম্পাদকসহ ‘প্রাণে বাংলাদেশ’ কাব্য সংকলনে অংশগ্রহণকারী সকলকে জানাই কাব্যিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
তরুণ, সমাজসেবক, সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র, অভিনেতা, কবি, ছড়াকার, কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার আবুল হাশেম। পিতা ওমর আলী, মাতা রোকেয়া বেগম। দশ ভাইবোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম সন্তান। ছয় বোন ও চার ভাই মিলে যেন স্বর্গীয় পরিবার। সহধর্মিনী মোসাম্মৎ শামীমা ইয়াসমিন এবং কন্যা নওরোজ জাহান ইলমা। শিল্প-সংস্কৃতির সবকটি পথেই যেন স্বাচ্ছন্দ্য পদচারণা করেছেন তিনি। ২০ জুলাই ১৯৮৬ সালে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার অন্তর্গত শায়েস্তাপুর গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল হাশেম। তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন সাহিত্য অনুরাগী। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি এখন প্রকাশনাও করেন। ‘এ.এইচ প্রকাশনী’ নামে রয়েছে তাঁর সুনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কবি ও লেখকের একক ও যৌথ বই প্রকাশ হয়েছে উক্ত প্রকাশনী থেকে। এ.এইচ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বই গুলো হচ্ছে ভালোবাসার নীলফড়িং, স্বপ্নতরী, মন গহীন, ভালোবাসার নীলকাব্য, সেই তুমি এলে, লাল ভালোবাসা, ঝিনুকের বুকে মুক্তো, গোধূলির আলো, সফেদ ক্যানভাসে রক্তের ছোপ,ও অন্ধ জোনাকি জাতীয় কবি পরিষদ (জাকপ) থেকে প্রকাশিত কাব্যসংকলন ‘পয়মন্ত প্রথমা’। তাঁর লেখা নাটক ‘হাবার কপালে বউ নাই’। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের কিশোর মঞ্চে ‘নয়ন তারা ও কুসুম কলি’ নাটকে অভিনয় করেছেন। অভিনয় শিখেছেন ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ড্রামা (ঘঘওউ, ২৩ তম ব্যাচ) থেকে। এছাড়াও তিনি যুক্ত আছেন ‘জাতীয় কবি পরিষদ’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সংস্কৃতিক-বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ‘এ.এইচ প্রকাশনী’ থেকে এবার বের হল ‘প্রাণে বাংলাদেশ’ নামে বৃহৎ কলেবরে কাব্যসংকলন। তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।