হঠাৎ করেই মারা গেল টম কেনেডির স্ত্রী। সে সিদ্ধান্ত নিল, ছেলে জেইক হিলকে সঙ্গে নিয়ে জীবনটা শুরু করবে নতুনভাবে। নতুন কোনো জায়গায়, নতুন কোনো বাড়িতে, নতুন কোনো শহরে। আর তাই ফিদারব্যাঙ্কে আবির্ভাব ঘটল পিতা-পুত্রের। কিন্তু তাদের জানা ছিল, বিভীষিকাময় একটা অতীত আছে ওই শহরের। জানা ছিল না, বছর বিশেক আগে একজন সিরিয়াল কিলারের আবির্ভাব ঘটেছিল শহরটাতে। সেখানকার পাঁচজন বাসিন্দাকে অপহরণ করার পর তাদেরকে খুন করেছিল লোকটা। শেষপর্যন্ত ধরাও পড়েছিল ফ্রাঙ্ক কার্টার নামের ওই খুনি, শহরের বাসিন্দারা তখন তার নাম রেখেছিল “দ্য হুইস্পার ম্যান”। কারণ একটাই: লোকটা রাতের বেলায় তার শিকারদের বাসার জানালায় হাজির হয়ে ফিসফিস করত… ঘর ছেড়ে বাইরে আসার ব্যাপারে প্রলুব্ধ করত হতভাগা ওই মানুষগুলোকে। নতুন ঠিকানায় থিতু হয়েছে কি হয়নি পিতা-পুত্র, ফিদারব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে গেল একটা ছেলে। লোকের মনে পড়ে গেল ফ্র্যাঙ্ক কার্টারের কথা। জেগে উঠল হুইস্পার ম্যানের স্মৃতি। অনেকেই বলাবলি করতে লাগল, সিরিয়াল কিলিঙে একজন সহকারী ব্যবহার করত লোকটা। শহরে হাজির হলো দু’জন গোয়েন্দা: আমান্ডা বেক আর পিট উইলিস। দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই খুঁজে বের করতে হবে তাদেরকে হারিয়ে-যাওয়া ছেলেটাকে। সে-কাজে, যদি দরকার হয়, জেলে থাকা আসল হুইস্পার ম্যানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে আপত্তি নেই পিটের। কিন্তু বিপত্তি বাঁধল অন্য জায়গায়। একরাতে নিজের ঘরের জানালায় অদ্ভুত এক ফিসফিসানি শুনতে পেল জেইক… এবার?
সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়ােল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অনুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। থৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোক রয়েছে তার। নিক পিরোগের থ্রি এ এম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। খ্রী : টেন এ এম তার দ্বিতীয় অনুবাদ কর্ম। দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স তার অন্যতম জনপ্রিয় কাজ। খুব শীঘ্রই বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপডা পায়জামাস উপন্যাসটি।