বিলম্বে বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। ছেলে মেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরেও বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে সময়মতো বিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা। অভিভাবকদের অসচেতনতা‚ সামাজিকতা‚ লৌকিকতাই আজকাল বিয়ের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। এর ফলে সন্তানরা ব্যক্তিগতভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে‚ তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সমাজ। অশ্লীলতা‚ যিনা ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। আর এই সমস্যা এখন গ্রাম ও শহরে সমানে সমান। বর্তমান সময়ের প্রতিটা মূহুর্তে তরুণ তরুণীদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। হারাম রিলেশনশীপ‚ ম্যাসেঞ্জার, ইউটিউবের অশ্লীলতা ইত্যাদির মাধ্যমে তরুণরা বিপথগামী হচ্ছে। এর থেকে মুক্তির একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে বিয়ে। বিয়ে করলে জীবন সুশৃঙ্খল হয়, জীবন অর্থপূর্ণ হয়। বিয়ে না করলে জীবনের অর্থ বোঝা যায়না‚ জীবন হয় অর্থহীন। আল্লাহ তা'আলার দেওয়া যৌবনকে উপভোগ করতে হবে। অনেকেই এ যৌবনকে বৈধভাবে উপভোগ করছে‚ আবার অনেক অবৈধভাবে। যারা বিবাহ করছেনা তারা স্থায়ী বা বৈধ উপভোগকে ত্যাগ করে অনেক সময় অবৈধ উপভোগ‚ ক্ষণস্থায়ী উপভোগ অথবা নিজের জীবন যৌবনের চাহিদাকে অর্থহীনভাবে প্রবাহিত করছে। এভাবে এক পর্যায়ে যৌবন শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু জীবনটা থেকে যাচ্ছে। সবশেষে ওই জীবনটা হয়ে যাচ্ছে দুর্বিষহ। বর্তমান সমাজে অসুস্থ, নোংরা আর অবৈধ কার্যক্রমের দরজাকে বিস্তীর্ণভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। হালাল পথকে কঠিন করা হয়েছে এবং হারামকে করা হয়েছে অত্যন্ত সহজ। তাই আপনাকে স্বাভাবিক নিয়মের বাহিরে গিয়ে হালালকে সহজ করে নিতে হবে। আপনাকে সময়মতো বিয়ে করতে হবে। ইসলাম বিয়েকে সহজ করে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবীগণ নিজেদের জীবনে বিয়েকে সহজভাবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাঁদের জীবনে বিবাহ ছিল অন্যতম আনন্দময় ঘটনা। অথচ সেই বিবাহই আজ কঠিন হয়ে গেছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে বিবাহ পরবর্তী জীবন আরও কঠিন হয়ে গেছে। কারণ যুবক যুবতীরা তাদের জন্য যুতসই লাইফ পার্টনার নির্বাচন করতে পারছে না। এই বই লেখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে হালাল পথ তরুণ- তরুণীদের মাঝে সহজ করা, বিয়েকে উৎসাহিত করা। একইসাথে তরুণ - তরুণীদের উপযুক্ত ও যুতসই জীবনসঙ্গী পেতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।
মোঃ মতিউর রহমান ১৯৮৯ সালে রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলাধীন ঝাড়গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশবকাল সেখানেই কাটে। পড়ালেখায় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষা জীবন শেষে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী জেড. এইচ শিকদার কার্ডিয়াক কেয়ার এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। এর কিছুদিন পরেই ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে বায়োকেমিস্ট পদে যোগদান করেন। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তিনি ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেডে বায়োকেমিস্ট ও ল্যাব ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। তিনি নগদ- রকমারি বইমেলা ২০২২ এ বেস্ট সেলার লেখক অ্যাওয়ার্ড পান।