দুইটি কথা বাস্তববাদী কবি আবুল খায়ের কর্তৃক সম্পাদিত ‘তারার কাব্য’ নামে একটি যৌথকাব্য প্রকাশিত হচ্ছে জেনে খুবই ভালো লাগছে। আরো ভালো লাগছে কারণে দেশ থেকে বহুদুরে অবস্থান করলেও মানসিকভাবে আমি মনে করি দেশেই আছি। কারণ দেশের এত গুণীজনদের সাথে আমার লেখাও প্রকাশ পাচ্ছে। একটি যৌথকাব্য মানে কবিদের সেতুবন্ধন। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী কবিদের সাথে দেশের কবিদের মেলবন্ধন হতে পারে একটি যৌথকাব্য। এটি একটি মাইলফলক কাজ, যার উপকার আমরা সারা জীবন ভোগ করতে পারবো। কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়ের সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন তার শত ব্যস্ততার মাঝেও। তবে যৌথকাব্য করা একটি কঠিন কাজ বটে। ইচ্ছে থাকলেও, ব্যস্ততা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে সম্ভব হয় না অনেক সময়। সমাজ পরিবর্তনে কবিতা গ্রুপের এক যুগ মানে বারো বছরে পদার্পণের এই ক্ষণে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে এতদিন যৌথকাব্য করলে অনেকগুলো পর্ব হয়ে যেতো। ‘তারারা কাব্য’ বইটি দ্বিতীয় যৌথকাব্য। দেশের প্রায় সব জেলা শহরে এবং যুক্তরাজ্য, ভারত, কানাডা, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া’সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে রয়েছে আমাদের গ্রুপের আহবায়ক কমিটি/প্রতিনিধি/কন্ট্রিবিউটর। গ্রুপে সবাই নিয়মিত লিখুন। ‘কালের প্রতিবিম্ব’ ম্যাগাজিনে লেখা দিবেন। ‘প্রতিবিম্ব প্রকাশ’-এর অনলাইন পোর্টালে লিখতে পারেন। ‘প্রতিবিম্ব প্রকাশ’ সৃজনশীল লেখকের ঠিকানা। মানসম্পন্ন বই প্রকাশ ও বিপণনে তারা অদ্বিতীয়। সবচেয়ে বড় কথা কবি আবুল খায়ের কারো থেকে টাকা না নিয়েই যৌথকাব্য/ম্যাগাজিন করেন। লেখকরা চাইলে চাহিদা মতো বই/ম্যাগাজিন কিনে নিতে পারেন, উৎসাহ দিতে পারেন।এটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। সবাই ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন। লেখা হোক আজ ও আগামীর ধন্যবাদান্তে, তসলিমা হাসান (কবি ও কথাসাহিত্যিক) উপদেষ্টা সমাজ পরিবর্তনে কবিতা গ্রুপ
কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়ের নোয়াখালী জেলার আওতাধীন সেনবাগ উপজেলার পূর্ব মোহাম্মদপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা-মোহাম্মদ ইসহাক, মাতা-শামসুন্নাহার বেগম। পড়ালেখা: সরকারী তিতুমীর কলেজ থেকেস্নাতক; ঢাকা কলেজ থেকে এম.এ এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর PGD (ABP/UK) উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশের বাহিরে ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। লেখালেখি: স্কুল জীবন থেকেই ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস লেখালেখি করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর লেখা বিভিন্ন সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা/ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হতে থাকে। কলেজ জীবনেই অনেকগুলো কলেজ বার্ষিকী ও স্মরণীকা সম্পাদনা করেছেন। বিভিন্ন যৌথ কাব্যগ্রন্থ, ম্যাগাজিন ও লিটলম্যাগে তাঁর লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। ইতিমধ্যে কলামিস্ট হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। সম্মাননা: ‘কবিসংসদ বাংলাদেশ’ ঢাকা কর্তৃক প্রদত্ত: কবি জসিম উদ্দীন সাহিত্য পদক-২০১৯ (কবিতায়); কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৮ (কবিতায়); ‘উত্তরণ সাহিত্য আসর’ পাবনা কর্তৃক প্রদত্ত কবি বন্দে আলী মিয়া সাহিত্য পদক (প্রবন্ধে) ছাড়াও আরো অনেক সংস্থা কর্তৃক ক্রেষ্ট ও সম্মাননা অর্জন করেন। তিনি রংপুর বেতারে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর ছাড়াও বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থাবলিঃ দীর্ঘশ^াসের সাথে বসবাস (কবিতা), অসহিষ্ণু পৃথিবীর বুকে (কবিতা), জীবনের প্রবাহ (প্রবন্ধ), দীর্ঘশ্বাসের সাথে বসবাস (উপন্যাস), ছড়ার দেশে খোকা খুকি বেড়ায় হেসে (শিশুতোষ ছড়া), বন্ধুর জন্য (কিশোর গল্প), তুমি ফিরে এলে (গানের সংকলন) ইত্যাদি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ : অসহিষ্ণু পৃথিবীর বুকে (বইমেলা-২০১৯)। এছাড়াও শতাধিক যৌথ কাব্যগ্রন্থে ও লিটলম্যাগে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো প্রত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। পেশাগত জীবন: বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায়-ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।