আমি এক সবুজ আপেল আঙুর গাছের নিচে পড়ে আছে শামুকের শ্বাস পূনরায় ঘুমিয়ে পড় তুমি, আমি বিকেলের টুটে যাওয়া সম্পর্কের টুকরোগুলো রক্তের ¯্রােতে ভেসে যেতে দেখেছি শুয়ে থাকা ভেন্টি লেটরে। তোমার মহৎ প্রেমিকার ইতিহাস খুঁজে দেখো একটা নির্বান এপিক সামনে আসবে এই খরাহীন মৌসুমের রোদে জুঁইফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে-রৌদ্র বিচারক। জলের শরীরে ঢেউ অমাবস্যার করুণ রাত্রি জুড়ে তুমি হেমন্তের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা নিঃসঙ্গ অপেক্ষারত কাকতাড়–য়া যেন। ফিসফিস করা মৃত্যুর বেয়ারা প্রস্তুত হয়ে আছে দরজার সম্মুখে, এখনই চলে যেতে হবে কুহক ও কুহেলিকা ছেড়ে নবারুণ ও নক্ষত্রের দিকে। আমার নিজেকে মনে হয় মাটিতে পড়ে থাকা একটা সবুজ আপেল- যার দিকে লোলুপ দৃৃষ্টিতে চেয়ে আছে ইঁদুর, তেলাপোকা এবং সমগোত্রীয় ক্ষুধার্ত প্রাণীরা। গাছেদের অদৃশ্য মিথুন লিখে রাখি পাতায় পাতায় যেনো শোকানোর আগেই বিহঙ্গেরা পড়ে নেয় সেসকল পরিশ্রম। দূরে এক চালঘরে পুরোনো রেডিয়ো থেকে ভেসে আসে বসন্ত বাতাসের গান, আর না ছোঁয়ার আক্ষেপে সেদিন আর সূর্যের সাক্ষাৎ নেয়নি মেঘ। তারপর সমস্ত মৃতরা হাঁটু মুড়ে বসে পড়বে দক্ষিনাঞ্চলীয় বরফের টিলায়। মানুষের সরল আফসোসের ভেতর আমি থেকে যেতে চাই গৃহহীন একটা জীবন! হাওয়ার শরীর অসমাপ্ত হাহাকারে গ্রীষ্মের অপূর্ণ স্বপ্ন অকালে ঝরে যাওয়া পাতার মতো-ভেঙে গেল তারার রাতে। মুড়িয়েছি কাছাকাছি রৌদ্রজ্জ্বল হাওয়ার শরীর, বনের প্রাচীর ভেঙেছে, আটকে পড়া আলো। বাইরে সুতোর চাদরখানি গলা চেপে ধরছে আকাশের। অনুমতির চেয়েও দীর্ঘ দৃশ্য প্যাঁচানো হচ্ছে শিশুদের খেলাঘরে। পৌঁছানোর পরে এগিয়ে দিয়ে কী হবে! যেখানে দৃশ্যের জন্ম; সেখানে চেরিফল ঝরতে দেওয়াই শ্রেয়। আমার কন্ঠস্বর তুমি কি আমাকে শুনতে পাচ্ছো? তোমায় নিমন্ত্রণ এককোটি বছরের বধির হাহাকারে। আমাকে একা রেখে কীভাবে বলো তুমি গুছিয়ে নিচ্ছো শরতের আগেই তোমার রঙিন ছাতা অথবা ক্যালেন্ডারের অপর পৃষ্ঠা! পৃথিবীতে পিঁপড়েরও মন খারাপ হয়, একথা জানার আগেই পানিতে ভেসে গেল তাদের জমানো বালুকণা। অথচ আমাদের ট্রেন-কবেই এসে ছেড়ে গেছে আমাদের দেরী করে ফেরা। আমাদের ভুল বোঝাবুঝি অনর্থক জেরা।