এক সময়ের প্রতাপশালী দেশ গ্রেট বৃটেন তথা বিলেত বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত বিশ্বের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে দোর্দণ্ড প্রতাপে। নানা মহাদেশ শাসন করেছে কয়েক শত বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরই বিশ্বব্যাপী প্রভাব হারাতে থাকে দেশটি। একে একে ছুটে যায় উপনিবেশগুলো। এক সময়ের ঔপনিবেশিক পরাশক্তি প্রভাব হারাতে থাকে বিশ্ব থেকে। সম্পদ ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ দেশটি হয়তো এখন আর আগের অবস্থানে নেই। করোনা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা, রাশিয়া-ইউμেন যুদ্ধের প্রভাবসহ নানা কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বিভিনড়ব সমস্যায় জর্জরিত দেশটি। তবুও কি বিলেতের প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ কমেছে? দেশটির গুরুত্ব কি কমেছে? বিশেষ করে বাঙালিদের কাছে? মোটেই না। এখনও বাঙালিদের স্বপড়ব যাত্রার দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো বিলেত। বাঙালিরা বেড়াতে-ঘুরতে কিংবা আবাস গড়তে আশ্রয় নিচ্ছে বিলেতের বুকে। বিলেতের পথে প্রান্তরে লুকিয়ে আছে জীবনের স্পন্দন। সেই স্পন্দনের স্পর্শে জীবনকে রঙিন করতে মরিয়া বিলেতবাসী। বিশেষ করে বাঙালি প্রবাসীরা। সুখ-দুঃখ, হাসি-কানড়বা আর আনন্দ-বেদনার মিশেলে চলছে তাদের প্রবাস জীবন। সেসব গল্পেরই ছিটেফোঁটা তুলে ধরার চেষ্টা রয়েছে বিলেত ভ্রমণ বইতে। প্রচণ্ড শীতে জনজীবন কাহিল আর জবুথবু হলেও বিলেতের নানা প্রান্তের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আছে নানা দর্শনীয় স্থান। এসব ঘিরে রয়েছে নানা গল্প, উপকথা আর রহস্য। সেসব দেখতে আর জানতে প্রতিদিন ভিড় করে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। লেখনীতে বাদ যায়নি সেসবও। ৮ বিলেত ভ্রমণ মোট কথা অর্ধমাসের বিলেত ভ্রমণে খুব কাছ থেকে নিবিড়ভাবে সবকিছু দেখার চেষ্টা ছিল আমার। সেইসব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছি বইটিতে। যতটা সম্ভব সুপাঠ্য করার চেষ্টায় ঘাটতি ছিল না। আশাকরি বইটি পড়ে পাঠকেরা কিছুটা হলেও বিলেত সম্পর্কে এবং আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা জানতে পারবেন। আমার অভিজ্ঞতাগুলো বই আকারে প্রকাশের জন্য কারুবাক প্রকাশনীর গোলাম কিবরিয়া ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেইসাথে বুদ্ধি, পরামর্শ দিয়ে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।