লেখকের কথা বিজ্ঞান কল্পনার চেয়েও রহস্যময়। বর্তমানে কসমোলজির সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং তার অন্তিম পরিণতি। আমাদের পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর। সে অর্থে মহাবিশ্ব আরও পুরাতন। বিজ্ঞানীরা এই মহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরানো বিকিরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন যে, প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর পূর্বে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। ‘বিগব্যাং’ এর পর ধীরে ধীরে মহাবিশ্ব বিকাশ লাভ করেছে। আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডুইন পাওয়েল হাবল ১৯২০-১৯৫০ এর দশকে আবিষ্কার করেন যে, গ্যালাক্সিগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তার এই আবিষ্কার মূলত ‘বিগব্যাং’ তত্ত্বকে সমর্থন করে। এই তত্ত্ব অনুসারে প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর পূর্বে অত্যন্ত ঘন কিন্তু খুব ক্ষুদ্র আকারে মহাবিশ্বের যাত্রা শুরু হয়েছিল। অতঃপর মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটেছে এবং ধীরে ধীরে এর ঘনত্ব কমে যাচ্ছে। ‘বিগব্যাং’ এর সত্যতা মূলত নির্ভর করে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হার, পদার্থের গড় ঘনত্ব এবং মহাবিশ্বে ভর-শক্তির ভৌত বৈশিষ্ট্যের উপর। অধিকাংশ মহাবিশ্বতত্ত¡বিদদের মতে এই মহাবিশ্ব হলো ‘সমতল’ (ঋষধঃ) এবং অনন্তকাল ধরে এর সম্প্রসারণ ঘটবে। মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও চ‚ড়ান্ত পরিণতি নিয়ে আলোচনা করতে হলে আমাদের কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যেমন-গ্যালাক্সিগুলোর গড় গতি, মহাবিশ্বের আকার ও আকৃতি এবং এতে অন্তর্ভুক্ত ‘ডার্ক ম্যাটার’ এবং ‘ডার্ক এনার্জি’ এর পরিমাণ।