অর্থি প্রতিদিন এশার আজানের পর বাসার ছাদে একটা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পায়। শব্দটা অনেকটা ছোট বাচ্চার হাঁটার শব্দের মতো। একদিন এই শব্দের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে অন্ধকার রাতে বাসার ছাদে উঠে যায় অর্থি। ছাদের একদম কোনায় সাদা ফ্রক পরা একটা বাচ্চা মেয়েকে দেখতে পায় সে। মেয়েটা পিছন ফিরতেই ভয়ে চমকে ওঠে অর্থি। বাচ্চা মেয়েটা যে দেখতে অবিকল তার মতো। মেয়েটার চোখমুখ দিয়ে অনবরত তাজা রক্ত ঝরে পড়ছে। প্রচÐ আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে অর্থি। পরদিন অর্থির মা আয়েশা বেগম তাকে দেশসেরা সাইকিয়াট্রিস্ট প্রফেসর আফতাব আহমেদের কাছে নিয়ে যান। এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা। প্রফেসর আফতাব আহমেদের পরামর্শে অর্থির মা আয়েশা বেগম তাকে গ্রামের বাড়ি রূপনগর নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে অর্থি এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। আয়েশা বেগম যে তার প্রকৃত মা নয়! তার মতো দেখতে সেই বাচ্চা মেয়েটার সহায়তায় অর্থি খুঁজে পায় নিজের বাবার কবর, যে কথা আয়েশা বেগম কোনোদিন তাকে জানায়নি। তার বাবার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে-এটা শুনে চমকে ওঠে অর্থি। শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল? অর্থি কি পেরেছিল তার আসল জন্মপরিচয় আর বাবার হত্যা রহস্য উম্মোচন করতে? অর্থির মতো হুবহু দেখতে সেই বাচ্চা মেয়েটাই বা কে?