এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমেশনের যুগে মানুষের চাকরি হারানোর কথা এসেছে ঘুরেফিরে। তবে সেটার কিছু ছিটেফোটা আমরা দেখছি গুগল, ফেসবুক, আমাজনের মতো বড় বড় কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের খবরে। এই ‘ওপেন এআই’-এর চ্যাট জিপিটি এবং গুগলের বার্ডের আগমনে, নতুন কিছু ধারণা কাঁপিয়ে দিচ্ছে চাকরির বাজার। ‘এআই উইল নট রিপ্লেস ইউ, এ পারসন ইউজিং এআই উইল।’আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের রিপ্লেস করবে না; বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা ব্যবহারকারীরাই আমাদের ‘রিপ্লেস’করতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে, এআই ও ডেটা ব্যবহার জানাটা জরুরি। সেই পার্সপেক্টিভ থেকে এ বইটি লেখা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মূল ধারণা হচ্ছে ডেটার সঠিক ব্যবহার, আর সে কারণে এই ডেটাকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, অথবা ডেটা আমাদের কী ধরনের ইনসাইট দিচ্ছে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ডেটা কীভাবে আমাদের সাহায্য করছে, সেটা বুঝতে দরকার ডেটা অ্যানালাইসিস/অ্যানালাইটিক্স। যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের বেশ কিছু বেসিক কাজ নিয়ে নেবে, সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা অ্যানালাইটিক্স অথবা ডেটা সায়েন্সকে ব্যবহার করে কীভাবে আমাদের ‘আপস্কিল’করা যায়, সেটা নিয়েই এ বইটি। ডেটা নিয়ে কাজ বোঝার জন্য এ বইটিই হবে সবচেয়ে শুরুর বই। হ্যাপি ডেটা অ্যানালাইটিক্স!
ইনফরমেশন এবং কমিউনিকেশন টেকনোলজি ও কম্পিউটারের এর নানা বিষয় নিয়ে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন একজন লেখক হলেন রকিবুল হাসান। বর্তমান যুগ হলো যোগাযোগ বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ। পুরো বিশ্ব চলছে বিভিন্ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর ভর করে এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছে বিশ্বের প্রায় সবকিছু। পৃথিবীর যেকোনো স্থানের যেকোনো মানুষের জীবনে কম্পিউটার ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। আর তাই এখন সকল শিক্ষিত মানুষেরই কম্পিউটার এবং অন্যান্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে থাকা প্রয়োজন বিশদ জ্ঞান। আর এসকল জ্ঞান সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই রচিত হয়েছে রকিবুল হাসান এর বই সমূহ। ১৯৭০ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এই লেখক শিক্ষাজীবন পার করেছেন ক্যাডেট কলেজে৷ ছোটবেলা থেকেই রেডিও কমিউনিকেশন নিয়ে অগাধ ভালোবাসা তাঁর। আর এরই সূত্রে ছুটিতে এলে বাসায় নিয়মিত তৈরি করতেন আরঅ্যান্ডডি ল্যাব, চাকরিজীবী বাবা-মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে। ফিউজ উড়ানো ও বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয়া ছিল তাঁর নিয়মিত কাজ। তবে ইলেকট্রনিক কমিনিউকেশনের প্রতি ভালোবাসাই একসময় তাঁকে সাহায্য করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর সিগন্যাল কোরে যোগ দিতে। তিনি সবসময় নতুন নতুন বিষয় শিখতে চান এবং এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ব্যক্তিগত অথবা সরকারিভাবে অংশ নিয়েছেন সত্তরটিরও অধিক ট্রেনিংয়ে, যার মধ্যে রয়েছে আমেরিকান সেনাবাহিনীর সিগন্যাল স্কুলের কোর্স এবং ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির 'লার্নিং হাউ টু লার্ন' কোর্স। ডেটা বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক, যা তাঁকে সাহায্য করেছে জাতীয় স্কেলে এদেশের টেলিকম অপারেটরগুলোর 'ইন্টারকানেকশন ভয়েস কল কস্ট মডেলিং' তৈরিতে সহযোগিতা করতে৷ তাঁর রয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা। আর এসকল জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতেই তিনি লিখেছেন বই। রকিবুল হাসান এর বই সমগ্রতে আছে 'হাতেকলমে মেশিন লার্নিং' ও 'শূন্য থেকে পাইথন মেশিন লার্নিং: হাতেকলমে সাইকিট-লার্ন'। তাঁর রচিত এসকল বই সকলকে সাহায্য করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত নানা বিষয় সম্পর্কে সহজে জানতে ও এগুলো নিয়ে সহজে কাজ করতে।