লেখালেখিকে আমরা যদি রান্নার সঙ্গে তুলনা করি তবে মনে রাখতে হবে উভয়ই শিল্প কিন্তু লেখালেখি অনেক বড় শিল্প। বাণিজ্যিক কিংবা অ-বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যেমন রান্না করা যায় তেমনি লেখাও যায়। ‘কষ্টের কাজল’ কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতাই এক বা একাধিকবার বিভিন্ন সংকলন, বই কিংবা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কিছু কিছু কবিতা ইতোমধ্যেই বহু পাঠক সমাদৃত হয়েছে। , বাণিজ্যিক রান্না বলতে আমরা হোটেল-মোটেলের রান্না বুঝে থাকি; যেখানে মুখরোচকতার প্রাধান্যই বেশী। বাণিজ্যিক রান্নায় গুনগত মানের চেয়ে স¦াদ রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। তবে অ-বাণিজ্যিক রান্নায় গুনগত মান রক্ষাই একমাত্র প্রতিপাদ্য। লেখালেখির জগৎটাও রান্নার মতোই একটা বিষয়, লেখক কী জিনিস দিচ্ছে, কাদের জন্য পরিবেশন করছে এটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হয়। , এই গ্রন্থে সংযোজিত সকল কবিতাগুলোর গুণগত উপকরণের মান বজায় রাখতে গিয়ে যদি গ্রন্থটি অ-বাণিজ্যিকতাতেও পর্যবসিত হয় তবুও মনে রাখতে হবে রান্নার সবচেয়ে দরকারি দিক সকল উপকরণগুলো প্রয়োজন অনুপাতে এবং সময়মতো দেয়াটা যেমন রান্নার স¦কীয়কলা তেমনি উক্ত গ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় কবি জয়প্রকাশ সরকারের এমতো কৌশলই এই কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতার লাইনে লাইনে গচ্ছিত শব্দের লুক্কায়িত চমকপ্রদ রসায়ন।, বরাবরের মতো কবি জয়প্রকাশ সরকারের ‘কষ্টের কাজল’ কাব্যগ্রন্থ পাঠক সমাদৃত হবে বলে আশা করি। বইটির কবিতাগুলো পড়ে যে কেউ শব্দ, ছন্দ এবং আনন্দ, বেদনার অনুভূতির খেলায় মোহিত হবেন। - আহমেদ মুনির, ঔপন্যাসিক ও কবি