পিয়া আকাশি রঙের শাড়ি পরেছে। তার মুখমণ্ডলে আনন্দ এবং স্নিগ্ধ এক ধরনের ভাব। ছোট্ট মেয়েটির মতো উচ্ছল লাগে তাকে। প্রবাসী পরিবেশে অন্যদেশি মেয়েদের মধ্যে শাড়ি পরা পিয়াকে সদ্যফোটা একটি রজনীগন্ধার মতো লাগছে । অভি মুগ্ধ হয়। কবিরও মুগ্ধ হয়। এই ধরনের নারী সৌন্দর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মতো। দর্শক মাত্রই মুগ্ধ হতে পারে। সম্পর্কহীন ভালো লাগা । নির্দোষ উপভোগ । পিয়া মেয়ে মানুষ। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কাজ করে যাচ্ছে তার মধ্যে অনবরত । সে হঠাৎ বলে, কি দেখছেন অমন করে আপনারা দু'জনেই? অভি বলতে পারে না। কবির রসিকতা করেই বলে, আপনাকে সুগন্ধি ফুলের মতো লাগছে । আপনার সৌন্দর্য উপভোগ করছি এই অনাত্মীয় প্রবাসে। আপনি যেন অচেনা কেউ। আপনার প্রাত্যহিক রূপ আর এই রূপের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আপনি এখন বসন্তের প্রকৃতি। দেখার মতোই । মুখে গাম্ভীর্য আর দেহের বাঁধুনির ফাঁকে ফাঁকে খেলা করছে বসন্ত আর আবহমান জীবন- যেন এক বনলতা সেন- অস্তিত্বের এক খণ্ড টলমলে শিশির এবং জোসনা রাতের বুক মোচড় দেওয়া অভিসারের আহ্বান- পিয়া খুব লজ্জা পায় কিন্তু তার ভালো লাগে। এমন কাব্যিক কথা বলে মানুষটা, এত প্রেম লোকটার অন্তরে...