বাদল পুকুরঘাটে এসে লক্ষ করে, মতির বিধবা বোনটি অপর পাড়ের ঘাটে গোসলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কদমগাছের ডাল এসে নুয়ে পড়েছে পুকুরের পানিতে। ডালপালা প্রচুর থাকায় রোদ পড়ছে না খুব একটা। পানিতে পা দিয়েই বুঝে গেল বেশ ঠাও। লুঙ্গিতে কথা মেয়ে হঠাৎ ঝাঁপ দিয়ে পড়ল পানিতে। মতির বিষবা বোন পারুল অন্যদিকে তাকিয়ে কাপড় বদলাচ্ছিল পানিতে নামার জন্য। হঠাৎ পানিতে শব্দ ওঠায় সে একটু আবড়ে গিয়ে কেঁপে উঠে তাকাল। ওপাশের ঘাটের সামনে পানিতে বুদবুদ উঠছে এবং অজস্র ছোটো বড়ো ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে রোদের ফাঁকে ফাঁকে। দাঁড়িয়ে থেকে পারল অপেক্ষা করতে থাকল লোকটা কে, তা দেখার জন্য। বাদল হঠাৎ হাত দিয়ে পারুলকে স্পর্শ করে। না বুঝে লে পারুলের বুকের কাছে হাত দিয়েই চিৎকার দিয়ে ওঠে, এই তো নরম। বাবা, এ তো দেখছি অন্য রকমের। পারুল হঠাৎ স্পর্শ পেয়ে একটু কেঁপে ওঠে। দীর্ঘদিন আদর পায় না তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো। সে হঠাৎ ডুবসাঁতার দিয়ে নিজের আটে পৌঁছে যায়। পানি থেকে উঠে পড়ে। বাদল একটু বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে থাকে। তেজা কাপড়ের নিচে পারুলের নারীদেহ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সেটা লক্ষ করে বাদল একটু বেসামাল হয়ে পড়ে। এই প্রথম সে পুরুষের দৃষ্টি দিয়ে দ্যাখে। নাহ, পারুল সুন্দর।