সালাফে সালিহীন যুবকদের প্রতি ছিলেন আন্তরিক ও মনোযোগী। যৌবনের অপার সম্ভাবনাগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ করে তাঁরা যুবকদের উপদেশ দিতেন, সতর্ক করতেন। সেই উপদেশগুলোও হতো হৃদয়ছোঁয়া। হযরত হাসান বসরী রহ. প্রায়ই বলতেন, ‘যুবক ভাইয়েরা আমার, আখিরাতের ব্যাপারে বিস্মৃত হয়ে যেয়ো না। শুধু আখিরাতই যেন হয় তোমার মূল লক্ষ্যবস্তু। কারণ, আমি অনেককেই দেখেছি, আখিরাতের তালাশে নেমে দুনিয়ায় হারিয়ে গিয়েছে। এরপর আখিরাতকে পেয়েছে অল্পই, কিন্তু দুনিয়া ঠিকই অর্জন করেছে কোঁচড় ভরে। অথচ আজও আমি এমন কাউকে দেখিনি, যে দুনিয়ার তালাশে নেমে আখিরাতে মত্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ, সে তখন দুনিয়াতেই পূর্ণ মগ্ন থাকে।’ আবু ইসহাক সাবিঈ রহ. বলেন, ‘হে যুবকেরা, যৌবনকালকে গুরুত্ব দাও। আমার জীবনে এমন রাত খুব কম অতিবাহিত হয়েছে, যে রাতে আমি এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করিনি। আমি এক রাকাতে পূর্ণ সূরা বাকারা পড়ে থাকি। রজব, জিলকদ, জিলহজ ও মুহাররম— পবিত্র এই চার মাসজুড়ে আমি রোজা রাখি। এ ছাড়া প্রতিমাসে তিন দিন এবং প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারও রোজা রাখি। আমি এগুলো অহংকারবশত বলছি না; বরং আল্লাহ তাআলার নিয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ বলছি।’ আইয়ুব সাখতিয়ানী রহ. বলতেন, ‘হে যুবকের দল, এখন থেকেই কামাই-রুজি শুরু করে দাও। এমন যেন না হয়, এখন বেকার থাকার ফলে বৃদ্ধ বয়সে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্যের হাত পাতা লাগে।