ইসলামী আন্দোলনের অগ্রপথিকদের জীবন আমাদের জন্য অনুসরণীয়। তাদের আখলাক, অবদান, ত্যাগ-কুরবানি ও ইসলামের জন্য আত্মোৎসর্গের তামান্না ইসলামী আন্দোলনের কণ্টকময় পথে অগ্রসর হতে আমাদের প্রেরণা জোগায়। পাশাপাশি তাদের চিন্তাধারা, লেখনী ও বক্তব্য বোঝার ক্ষেত্রেও তাদের জীবনকর্ম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ছাত্র সংগঠনে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সাংগঠনিক আলোচনাচক্র-পাঠচক্রে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। তখন অনুভব করি, এ সকল বইয়ের লেখকবৃন্দের জীবনকর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংবলিত বই থাকলে বেশ ভালো হতো। সেই অনুভব থেকেই একসময় নিজেই লিখতে শুরু করি। উদ্দেশ্য যেহেতু পাঠচক্র-আলোচনাচক্রের তালিকাভুক্ত বইয়ের লেখকদের জীবনকর্ম আলোচনা, সেহেতু অন্যান্য শ্রদ্ধাভাজন নেতৃবৃন্দের জীবনী এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি; বরং যারা সংশ্লিষ্ট বইসমূহের লেখক, কেবল তাদের নিয়েই আলোচনা সীমিত রেখেছি। বিভিন্ন বই, পত্রিকা, সাময়িকী ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করেছি। সংগৃহীত তথ্যের বিন্যাস ছিল বেশ শ্রমসাধ্য। কেননা, কারও কারও জীবনকর্মের ওপর তথ্যের প্রাচুর্য যেমন আছে, আবার কারও জীবনের ওপর বলতে গেলে তথ্যাদি খুব কম এবং তা দুর্লভও। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যবিভ্রাটও আছে। এসব ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনুসন্ধানের পর অধিকতর সঠিক তথ্য পরিবেশনের চেষ্টা করেছি। সংগৃহীত তথ্যাদির উৎসসূত্র প্রতিটি লেখার পর উল্লেখ করে দিয়েছি, যেন অনুসন্ধিৎসু পাঠকগণ আরও বিস্তারিত পাঠ নিতে পারেন। বইয়ে সন্নিবেশিত প্রায় নিবন্ধই সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, অধুনালুপ্ত মাসিক ছাত্র সংবাদ ও দ্বি-মাসিক মাদরাসা পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। বই আকারে প্রকাশিত হওয়ায় একমলাটে এই দশজন মনীষীর জীবনকর্ম সম্পর্কে পাঠক সহজেই জানতে পারবেন।
মুহাম্মাদ আবু সুফিয়ানের স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়। পেশায় পাণ্ডুলিপি সম্পাদক। সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ত্রিশোর্ধ্ব। নিজের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুই— ১. দশ পাঞ্জেরি, ২. আল্লামা ইকবাল : মননে সমুজ্জ্বল (সংকলন)। অ্যাকাডেমিক শিক্ষা শেষ করেছেন ২০১৭ সালে। হিফজুল কুরআন ও মাদরাসা শিক্ষার পাঠ নিয়েছেন যথাক্রমে গারাংগিয়া আলিয়া, তা’মীরুল মিল্লাত ঢাকা ও দারুল উলুম আলীয়া চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন ইসলামিক স্টাডিজে অনার্স-মাস্টার্স।