ফ্ল্যাপ কিলার দ্য ক্লুকে প্রতিহত করতে মিশন সিক্সটি ফোরে সারাদেশের ৬৪জন সৎ পুলিশ অফিসারকে যুক্ত করা হয়েছে। অপারেশন লিডার হিসেবে আছেন ওসি অনিরুদ্ধ,এস আই রুদ্র ও এস আই ফারহান। তবুও থামছে না দ্য ক্লুর নাশকতা। একটা কেস সলভ না হতেই আরেকটা কেসের ওপেনিং। মিলছে না কোনো ক্লু। কোনো ভিক্টিমকে মারা হচ্ছে অঙ্গচ্ছেদে।আবার তাকে ডেটল ও কেমিকেলে গোসল করিয়ে গোলাপজল মাখিয়ে বস্তাবন্দি করা হচ্ছে। কোনো ভিক্টিমকে মারা হচ্ছে রড দিয়ে মগজ ছিন্নভিন্ন করে। কারোর হাত পা কাটা হচ্ছে। কারোর চোখ ও নখ উপড়ে ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোনো ক্লু রাখা হচ্ছে না। ভিক্টিমের লাশের সাথে রেখে যাওয়া হচ্ছে চিরকুট। প্রত্যেকটা ক্রাইম করার আগেই দ্য ক্লু মিশন সিক্সটি ফোরকে বার্তা দিচ্ছে। স্পটে ফোর্স রেডি থাকার পরেও দ্য ক্লুকে কেউই এরেস্ট করতে পারছে না। অথচ দ্য ক্লু ঠিকই মিশন সিক্সটি ফোরের সাতজন ফ্রন্ট ফাইটারকে গুম করে ফেলেছে। দ্য ক্লুকে খুঁজে বের করতে মরিয়া হলে ওসি অনিরুদ্ধের বাড়ি থেকে একটা ভিক্টিমের হাত পা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়, এস আই ফারহানের বাড়ির সামনে এক ভিক্টিমকে খুন করে ফেলে রাখা হয় আবার এস আই রুদ্রের বাড়ির কিচেন থেকে কাটা হাত পা ও এক বালতি রক্ত উদ্ধার করা হয়। কারা করছে এসব! কিভাবে করছে! প্রত্যেকটা খুনের সাথে বাইশ সংখ্যাটার একটা কানেকশন আছে এটা দ্য ক্লুর বার্তায় সুস্পষ্ট হবার কদিন পরেই বাইশটি শিশু একই দিনে আলাদা আলাদা স্পট থেকে নিখোঁজ হয়। এর কদিন পরেই প্রায় একশোজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে গুম করে দ্য ক্লু। সারাদেশের মানুষ আতঙ্কে জর্জড়িত।উপরিমহলের চাপে মিশন সিক্সটি ফোরের নাজেহাল অবস্থা। এমন সময়ে এস আই রুদ্র ও এস আই ফারহানকেও সিক্রেট মিটিং থেকে ফেরার পথে ওসি অনিরুদ্ধের বাসার সামনে থেকে গুম করা হয়। এবার ওসি অনিরুদ্ধ ও মিশন সিক্সটি ফোর প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।ওসি অনিরুদ্ধ কি পারবেন তার সাথীদেরকে উদ্ধার করতে! এস আই রুদ্র ও ফারহান কি জীবিত আছেন!দ্য ক্লু আসলে কি চায়! এত নিখুঁতভাবে খুন ও গুমগুলো তারা করছে কিভাবে! বাইশের সাথে তাদের কানেক্টিভিটি কোথায়!কেন এত নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে ভিক্টিমকে! তারা কি চাইছে! কিসের জাস্টিস চাইছে! মিশন সিক্সটি ফোর কি পারবে দ্য ক্লুকে থামাতে!