শতাব্দীর নীল অন্ধকারে পৃথিবীর সব পথে ধ্রুপদী করুণ শঙ্খের সুর বাজে। একসময় মনে হয় শুধুই চারদিকে অন্ধকার, নক্ষত্রের সব আলো মিশে একাকার সমুদ্রের নোনা জলে। সূর্যের আলোও যেন পূর্ণ পরাস্ত ঘুমন্ত সময়ের কাছে। পৃথিবীর নিযুপ্ততায় জীবনের হিসাবেই হিসাব মিলানো বড়ই কঠিন। তবুও আমরা অন্তরলোচনে খুঁজে ফিরি কিঞ্চিত আলো। যাপিত জীবনের প্রবাহমান নিয়মতন্ত্রে নিদারুণ দ্বিধায় কাটে জীবন কখনোওবা শূন্য গন্তব্যের সীমাহীন দুঃস্বপ্নে নিত্যদিনের সূর্যটা অবহেলায় রাতের আঁধারে মিশে। জীবনের চাওয়া পাওয়াগুলো বছরের পর বছর ঝুলে থাকে করুণ নিনাদে। পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠা পূর্ণ হয় আদ্যোপান্ত স্যঁাতসেঁতে ক্লান্তি ও নিদারুণ আতঙ্কে। আমার বুকে আমি স্পন্দন শুনি আমরা কি তা জেনেছি অতীত থেকে। বিদ্রোহ করে কিভাবে পরাধীনতার শিকল ছিঁড়তে হয় তা অর্জন করেছি ইতিহাসের বিদ্রোহের কথা শুনে। আমরা অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়তে জানি। আমাকে আঘাত করে বর্তমান সময়ের এই অস্থির অবস্থা। জীবনের অনুষঙ্গে পৃথিবীর বিস্তৃত পথে পথে প্রাপ্তির সুখে নির্মল হাসি থাক প্রতিটি প্রাণে প্রাণে। আমার অশান্ত হৃদয় সমাধান খুঁজে অপার অপরূপ আলোকময়তায় প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল ভেঙ্গে শক্ত একটা ইমারতের। সত্য উদ্ভাসিত হোক ঘূণে ধরা সমাজের বিপরীতে দৃঢ়চেতা আত্মপ্রত্যয়ে সুখ সম্মোহনী সুর তুলে। আমি আমার ‘অতঃপর অন্ধকার শেষে’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোতে প্রেম বিরহের চেয়ে এই আত্মপ্রত্যয়ী দিকটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সবার ‘অতঃপর অন্ধকার শেষে’ কাব্যগ্রন্থ ভালো লাগলে আমার লেখা সার্থক হবে।