'চিমার গোরস্থান। মূলত ইংরেজ আমলের এক অত্যাচারী জমিদার চিমার নামানুসারে এই গোরস্থানের নাম রাখা হয়েছে। গোরস্থানের পাশেই তার জমিদার বাড়ি। জমিদারের মৃত্যুর পর এই গোরস্থান, জমিদার বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রায় একশ বছর পর জমিদারের বংশধর বলে পরিচয় দিয়ে জুলফিকার আলী নামের এক লোক গোরস্থানের পাশে কটেজ তৈরি করে। সে ভুত ও রহস্য প্রেমীদের এখানে আমন্ত্রণ জানায় তার বানানো কটেজ ভাড়া নিয়ে জমিদার বাড়ি ও গোরস্থান ঘুরে দেখার জন্য। তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পাঁচজন দর্শনার্থী ঘুরতে আসে চিমার গোরস্থানে। কিন্তু তারা এই জায়গাটাকে যতটা সহজভাবে নিয়েছিল জায়গাটা আসলে তেমন ছিল না। কারণ এখানে লুকিয়ে আছে হাজারো রাতের পুরানো এক ভয়ংকর গল্প। গভীর রাতে গোরস্থানে অদ্ভুত ছায়ামূর্তি কিংবা গোরস্থানের কফিন থেকে কান্নার আওয়াজ কিংবা জমিদার বাড়ির দেয়ালে আঁকা ছবির জ্যান্ত পৈশাচিক হাসি কিংবা পুরানো টানা পাখার রাতভর বাতাস করার আওয়াজ কোনোটাই স্বাভাবিক ছিল না। তাহলে কী বহু বছরের পুরানো পিশাচ প্রেতাত্মা জেগে উঠেছে? ওরা পাঁচজন কি পারবে বেঁচে ফিরতে ? নাকি এই অশুভ রাতেই ওদের সলিল সমাধি হবে? কিন্তু বাহিরের শোঁ শোঁ বাতাস যেন চুপিচুপি বলছে আজকে রাতের অন্ধকার অশুভ। সাবধান!
কল্পনাতে সুখী আমি, কল্পনাতেই রাজা; কল্পনা ভেঙ্গে গেলে আমি দুঃখ রাজ্যের প্রজা । (~তুর্জয় শাকিল) কাল্পনিক গল্পের এই লেখক চাঁদপুর জেলার মতলব থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ মেজবাহউদ্দীন একজন সরকারি চাকুরীজীবি এবং মাতা সুফিয়া বেগম একজন সাহিত্য অনুরাগী ও লেখিকা। ভৌতিক ও রহস্য গল্পের লেখক হিসেবে পরিচিত তুর্জয় শাকিল সামাজিক উপন্যাস ও রম্যকথনের বইও লিখেছেন। কিশোর ক্লাসিক রহস্য সিরিজ টু ডট কেম তার অভিনব সৃষ্টি।