আমরা যারা গল্প লিখি, তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ধরন রয়েছে গল্প বলার। আমিও তেমনি আমার নিজস্ব ঢঙে এ গল্প বলার চেষ্টা করি। আমি মূলত ফিকশন লিখতে চেষ্টা করি। কতটা পেরে উঠছি সেটা আমার পাঠকই ভালো বলতে পারবে। কাল্পনিক কোনো ঘটনা যা লেখকের মাথা থেকে বের হয় তাকেই ফিকশন বলে। সোজা বাংলায় ‘গল্প’ বলতে আমরা যা কিছুই বুঝি, সবই ফিকশন। যেমন, ক্লাসিক, কমিকস, ক্রাইম, ডিটেক্টিভ, ফেবল, ফেয়ারি টেল ফ্যান ফিকশান রোমান্স, হিউমার, রিয়ালিস্টিক ফিকশান, থ্রিলার, সাই-ফাই, ফ্যান্টাসি গথিক, মেটাফিকশান, টল টেল মিস্টারি, স্যাটায়ার, ট্র্যাভেলগ, ট্র্যাজেডি, প্যারোডি, ম্যালোড্রামা ইত্যাদি সবই ফিকশন। তাহলে আমাদের গল্পের চরিত্রগুলো কোথা থেকে আসে? নিশ্চয় কল্পনার জগৎ থেকে। ভিন্ন ভিন্ন লেখকের কল্পনার জগৎ কি আলাদা নাকি জগৎ একটাই কিন্তু সেখানে তারা ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র ধারণ করে? নন-ফিকশনে দুজন লেখকের গল্পের চরিত্রগুলোর মিলন সম্ভব কিন্তু তাদের গল্পের দৃষ্টিকোণ আলাদা। একই ঘটনা কে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে তার ওপর নির্ভর করে ঘটনা কিন্তু মূল ঘটনার সাথে তার মিল নাও থাকতে পারে। তেমনি ফিকশন গল্পেও তাই ঘটতে পারে। একজন লেখকের একটি বিশেষ চরিত্রের সাথে অন্য এক লেখকের একটি বিশেষ চরিত্রের সাথে দেখা হতে পারে। ফিকশন ওয়ার্ল্ড এ বসবাসকারী চরিত্রগুলোর পূনর্মিলন হতে পারে নতুন কোনো ফিকশন। আমার ‘দার্শনিক ও একজন মহামানব’ গ্রন্থে তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে।
জন্ম ২ জুন ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দ, ফরিদপুর জেলার বিলমামুদপুর গ্রামে নানা বাড়ি। ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং সরকারি ইয়াসিন কলেজ, ফরিদপুর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যে তরুন উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসেবে তার যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। পেশায় ব্যাবসায়ী হলেও বাংলা সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ থেকেই সাহিত্য চর্চা শুরু। নিউইয়র্কে লায়ন্স ক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলা সাহিত্যের বিশ্বায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।